- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- মীর কাসেমের আপিল শুনানি কার্যতালিকায়
মীর কাসেমের আপিল শুনানি কার্যতালিকায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। মঙ্গলবারের (২ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি কার্যতালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি চলবে। বেঞ্চের অপর তিন সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আপিল বিভাগ গত ৬ জানুয়ারি শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
ইতোমধ্যেই মীর কাসেমের আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করেছেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষে আপিল শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও মীর কাসেম আলীর পক্ষে প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর ৩০ নভেম্বর মীর কাসেম আলী আপিল করেন। দেড়শ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ১ হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠার আপিলে মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে মীর কাসেম তার ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন।
আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা ও মৃতদেহ গুম এবং ২৪ জনকে অপহরণের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন নির্যাতনকেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী ১৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত হন মুক্তিযুদ্ধকালে জামায়াতের কিলিং স্কোয়ার্ড আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা ও ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক মীর কাসেম আলী। মোট ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয় এবং বাকি ৪টি অভিযোগ প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি।
এর মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ মোট ৮ জনকে হত্যার দায়ে কাসেমের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ১১ নম্বর অভিযোগে শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে ও ১২ নম্বর অভিযোগে রঞ্জিত দাস লাতু ও টুন্টু সেন রাজুকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ১১ নম্বর অভিযোগে সর্বসম্মত ও ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ফাঁসির রায় দেন বিচারপতিরা।
এ ছাড়াও প্রমাণিত অন্য ৮টি অভিযোগে আরও ৭২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পান মীর কাসেম আলী। এর মধ্যে ফারুককে অপহরণ-নির্যাতনে ২০ বছর ও নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতনের দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অপহরণ, আটক ও নির্যাতন সংক্রান্ত ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মীর কাসেম আলীর মামলাটির মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি করা হবে ৭ম আপিল মামলার। এর আগে ছয়টি আপিল মামলার চূড়ান্ত রায়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চারজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বাকি দু’টির মধ্যে একটির পূর্ণাঙ্গ ও একটির সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।