চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ সপ্তাহে ডায়ারিয়ার ১৫০ রোগী হাসপাতালে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়ারিয়া পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা একে মৌসুমী (শীতকালীন) বললেও যে কোন মূহুর্তে বদলে যেতে পারে চিত্র। শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল ঘুরে এমন অবস্থা দেখা গেছে।
বিশেষ করে রোটা ভাইরাস জনিত ডায়ারিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অধিক। আগের সপ্তাহে (৩ থেকে ৯ জানুয়ারি) ১৩৯ জন ডায়ারিয়া রোগী ভর্তি করা হয় হাসপাতালের ডায়ারিয়া ওয়ার্ডে। আর শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১৩ জন রোগী ভর্তি হয় যার প্রায় সকলেই শিশু। প্রচুর রোগী আসা এখনও অব্যহত আছে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রুহুল আমীন ও ওয়ার্ডের সেবকরা জানান, তাদের সাধ্যমত সবকিছুই তারা করছেন। রোগের প্রধান চিকিৎসা আই.ভি স্যালাইনের সরবরাহ সবসময় পর্যাপ্ত থাকেনা বলছেন তারা। অন্যান্য কিছু ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে আর কিছু বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে রোগীদের। সংকট রয়েছে চিকিৎসকের। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কেউ নেই জেলার প্রধান এই হাসপাতালে। ওয়াডের্র রোগী দেখছেন শিশু বিশেষজ্ঞ আবুল কাসেম, বেনজীর আহমেদ ও বিপদ ভঞ্জন কর্মকার। রোগীরাও সন্তুষ্ট নন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে।
সদর উপজেলার কালীনগরের ফিনকোরা নামের এক মা জানালেন চিকিৎসা নিয়ে তার অভিযোগ। দুদিন আগে ১১ মাস বয়সী শিশু জিহাদকে ভর্তি করেছেন হাসপাতালে ডায়ারিয়ার চিকিৎসার জন্য। তার অভিযোগ রোগীকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না এখানে। এই তীব্র ঠান্ডায় মেঝেতে থাকা রোগীরা রয়েছেন আরেক বিপদে। এখনও কেউ মারা না গেলেও সংকটাপন্ন রোগী রয়েছেন কয়েকজন। সব মিলিয়ে অবস্থা যে কোন সময়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। দুপরের পর চিকিৎসকশূণ্য অবস্থা হয় ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে। পরের দিন সকাল পর্যন্ত ভরসা জরুরী বিভাগের একজন মাত্র চিকিৎসক।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।