নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় ৩২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে চারটি স্থগিত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ আগামি ১২ জানুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী প্রচার প্রচারণা রাখা হয়েছে বন্ধ। এই অবস্থায় ঐ ৪টি স্থগিত কেন্দ্রের ভোটারদের ভুড়ি ভোজের আয়োজন করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার ভজের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন আচড়ন বিধি লঙ্ঘন করে শনিবার (৯ জানুয়ারি) এই ভুড়ি ভোজের আয়োজনের অভিযোগে রির্টানীং অফিসারের নির্দেশে সৈয়দপুর থানা পুলিশ বিকাল ৫টায় ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে বড় বড় পাতিলে রান্না করে রাখা পোলাও এবং মাংস জব্দ করেছে। সেই সাথে আটক করা হয়েছে আমজাদ হোসেন সরকার ভজের কর্মী আবু চৌধুরী (৫৫) নামের এক ব্যাক্তিকে।

সৈয়দপুরের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাখোয়াত হোসেন খোকন অভিযোগ করে জানান, বিএনপির মেয়র প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে দুই নম্বর ওয়ার্ডের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র সংলগ্ন একটি পরিত্যাক্ত রেলওয়ে কোয়ার্টারে রীতিমত নির্বাচনী আচড়ন বিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের ভুড়িভোজের সাথে টাকা বিতরণ করছিল। যা রির্টানীং অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়।

তিনি বলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ওই এলাকার ভোটারদের ভয় ভিতি দেখিয়ে ভুড়িভোজে অংশ নিতে বাধ্য করে এবং ধানের শীষে ভোট প্রদানের জন্য টাকা বিতরণ করেন।এ ব্যাপারে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুইটি বড় পাতিলে রান্না করা পোলাও ও মাংস জব্দ করা হয়েছে। সেই সাথে একজন কে আটক করা হয়।

সৈয়দপুর পৌর সভার রিটার্নী অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাস উদ্দিন জানান এ ঘটনার নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই পৌরসভায় ৩২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে চারটি ভোটকেন্দ্র মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে, ফ্রি আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোলাহাট রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়। এই চারটি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪১৮। ফলে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী সহ ৩ জন সাধারণ কাউন্সিল ও দুইজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলারের ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রাখা হয়।