ত্রিমুখি সংঘর্ষে শ্রমিক লীগের এক কর্মী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
সান্তাহারে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখি সংঘর্ষে শ্রমিক লীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জাপা নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা।
মামলায় সান্তাহারের পৌর মেয়র বিএনপি নেতা তোফাজ্জেল হোসেন ভুট্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মন্টু, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল লতিবসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত শ্রমিকলীগকর্মী শফিকুল ইসলাম (৩২) সান্তাহার পৌর শহরের চাবাগান এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এবং পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম বাদশার ছোট ভাই।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আদিতমারী থানায় নিহতের বড় ভাই ও শ্রমিকলীগ নেতা নূর ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তিন জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে পৌর নির্বাচনে জাপার ভোট বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ করে আসছিলেন রাশেদুল ইসলাম রাজা। একারণেই তিনি পরাজিত হন বলে দাবি করছিলেন। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে জাপার সঙ্গে শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগের এক অংশের নেতাকর্মীদের উত্তেজনা চলছিল।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে নিহত শফিকুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় জাপার নেতা ফেরদৌস হাসান সুমনের বিরোধ হয়। এর জের ধরে দুপুর একটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের একটি অংশ জাপার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সংর্ঘষ চলাকালে শফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।