- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ননী-তাহেরের রায় যে কোনো দিন
ননী-তাহেরের রায় যে কোনো দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রখেন।
এর আগে বুধবার অভিযোগভিত্তিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন উভয়পক্ষ। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবাহান তরফদার ও গাজি এম এইচ তামিম।
প্রসিকিউশন তার যুক্তিতর্কে দাবি করেন, আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এজন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আরজি জানানো হয়।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেননি প্রসিকিউশন। তাই এসব অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আরজি জানানো হয়।
তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনা জেলা সদর ও বারহাট্টা থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ‘কুখ্যাত রাজাকার’ হিসেবে পরিচিতি পান বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। তাহের স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে ননীসহ অন্যান্য রাজাকার সদস্যদের নিয়ে নেত্রকোনা শহরের মোক্তার পাড়ার বলয় বিশ্বাসের বাড়ি দখল করে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন।
২০১৩ সালের ৬ জুন এ দুই আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। একবছর চার মাস ২৮ দিন পর ওই তদন্তের প্রতিবেদন জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ২০১৪ সালের ১২ অগাস্ট এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে নেত্রকোনা পুলিশ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।