মহেশপুর থানার ওসি ও এসআই'র বিরুদ্ধে মামলা
চুয়াডাঙ্গার আদালতে ঝিনাইদহ মহেশপুর থানার ওসি ও এক এসআইয়ের নামে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও খুনের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে জীবননগর আমলী আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বেদেনা খাতুন। জীবননগর আমলী আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন। মোশারেফ হোসেন জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের পাংকি মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রাম থেকে মোশারেফ হোসেন নামের এক যুবককে গত ৪ জানুয়ারি বিকালে সাদা পোশাকের মহেশপুর থানা পুলিশের এসআই হাফিজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে এসআই হাফিজ মোশারফের পরিবারের কাছে মোবাইলফোনে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরিবার চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় দুই দিন থানায় আটকে রেখে মোশারেফকে শারিরীক নির্যাতন করে। দুই দিনেও তাকে আদালতে চালান না দিয়ে অর্থ নিয়ে তার পরিবারের সাথে দরকষাকষি করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে ৫ জানুয়ারি রাতে মোশারেফের মা বেদেনা খাতুন এসআই হাফিজের সাথে মহেশপুর থানায় দেখা করে দাবিকৃত ৭০ হাজার দিয়ে তার ছেলেকে থানা থেকে মুক্ত করে আনেন। একই দিন রাতে মোশারেফকে অসুস্থ্য অবস্থায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্ত করবেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হালিম।
বাদী পক্ষে মামলাটির আইনজীবি ছিলেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট এস এম সাইদুজ্জামান গনি। তিনি জানান, মামলাটি দন্ডবিধির ৪৪৮/৩৬৪/৩০৭/৩৮৫/৩২৩/৫০৬(খ) ধারায় দায়ের করা হয়েছে মহেশপুর থানার ওসি শাহিন আলম ও এসআই হাফিজের নামে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।