- হোম
- >
- লাইফ স্টাইল
- >
- রান্না ও রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার
রান্না ও রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার
হলুদ রান্নায় মেশালে স্বাদ বাড়ে ও ত্বকে ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বেড়ে। কাঁচা হলুদ ও গুঁড়া হলুদ—দুটোরই গুণ। এই কারনে দুটিকে দুই কাজে ব্যবহার করা হয়।
হজমের জন্য খুব উপকারী হলুদ। খাদ্য হজম হতে যেসব পরিপোষক দরকার, সেগুলো হলুদে নির্দিষ্ট পরিমাণে আছে।
হলুদের ব্যবহার করা উচিত খাদ্যে পরিমাণ অনুযায়ী তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত হলুদ খাবারে তেতো করে ফেলে।
কুসংস্কার আছে, হলুদ একেবারে নিষিদ্ধ জন্ডিস রোগে —এই ধারণা ঠিক নয়, বরং জন্ডিসের রোগীর খাবারে সামান্য পরিমাণ হলেও হলুদ ব্যবহার করতে হবে।
যাঁরা পেটের নানা রকম পীড়ায় ভুগছেন, (যেমন: গ্যাস্ট্রিক, অজীর্ণতা ইত্যাদি) তাঁরা রোজ সকালে খালি পেটে অল্প একটু কাঁচা হলুদের রস কিংবা পাতলা করে কাটা হলুদের ছোট টুকরা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পীড়াগুলো নিয়ন্ত্রণে হবে।
এটি ত্বকের জন্যও খুব ভালো। ত্বকে নিয়মিত হলুদের ব্যবহার চেহারায় উজ্জলতা আনে।
এটি ত্বককে কোমল করে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
১। লিভারে যাঁদের সমস্যা আছে বা লিভারের রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী হলুদ খাবেন। বেশি হলুদ খাওয়া তাঁদের জন্য ক্ষতিকর।
২। খাবারে কার কতটুকু হলুদ গ্রহণ করা উচিত, তা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
৩। ল্যাক্টোস ইন্টলারেন্ট হলে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে দুধ বাদ দিয়ে মধু বা শুধু হলুদ অল্প পরিমাণে খেতে হবে। অথবা সয়া দুধও নেওয়া যেতে পারে।
৪। দুরারোগ্য কোনো লিভারের অসুখ হলে হলুদ যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলতে হবে। কী পরিমাণে গ্রহণ করা যাবে, তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের কাছ থেকে।
৫। ত্বকে সহ্য না হলে হলুদের ব্যবহার বাদ দিন।
৬। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা হলুদ না খেয়ে মাঝেমধ্যে বিরতি দিতে হবে।
৭। অতিরিক্ত হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খেতে হবে পরিমাণ মতো।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।