মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন সাংবাদিক-লেখক রেজাউল কবির পল্টু
শেরে বাংলা স্মৃতি একাডেমি ঢাকা- সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব, জাতীয় মাসিক বিশাল বাংলা পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক অলংকার বাংলাদেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, ইতিহাস গবেষক, লেখক এস এম রেজাউল কবির পল্টু হার্ট স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের শুক্তাগড় গ্রামের মরহুম মাস্টার আঃ রব মিঞার পুত্র। ঢাকাস্থ শেরে বাংলা স্মৃতি একাডেমি সংঠনের কার্যকরী পরিষদ সকলের কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
কর্তব্যরত ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মাহাবুবুর রহমান এর অধীনে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা এঞ্জিওগ্রাম করে জানতে পারেন তার হার্ডব্লক হয়েছে। প্রথমে তাঁকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা হৃদরোগ হাসপাতালে ৬নং ওয়ার্ডে অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান এর তত্বাবধায়নে ভর্তি করে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষাসহ চিকিৎসা করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনকভাবে দিন কাটাচ্ছেন।
শেরে বাংলা স্মৃতি একাডেমি সমিতির কার্যকরী পরিষদ ও সদস্য বৃন্দ হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলের কাছে তাঁর আরোগ্য কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির পাশে বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যাক্তিদের জীবন ইতিহাস খুজে বের করে বই লেখায় ছিলো লেখক রেজাউল কবির পল্টুর আনন্দ ও ভালো লাগা। পত্রিকায় কলাম লেখা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রেস সংবাদসহ অনেক বই লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- ১৯৯০ সালে “শতাব্দীর ফুল” স্বরনিকা, ১৯৯৪ সালে “বাংলার কিংবদন্তীর মহানায়ক শেরে বাংলা” ও “ঐতিহাসিক সাতুরিয়া ও শেরে বাংলা” স্মরনিকা এবং ১৯৯৫তে “ঐতিহাসিক সাতুরিয়া ও শেরে বাংলা”, “বালক” “৭১ ও স্বাধীনতা” প্রকাশ মার্চ ১৯৯৬, শেরে বাংলা স্মরনিকা প্রকাশকাল ১৫ জুন ১৯৯৮, “বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা” প্রকাশ কাল ১৯৯৯, “বাংলার মুকুটহীন সম্রাট মহাত্না অশ্বীনী কুমার দত্ত” গুনীজন সংবর্ধনা, সন্মাননা স্মারক ও সন্মাননা পত্র ২০০৮ সংকলন প্রকাশ ২৫ জানুয়ারি ২০০৮, “শেরে বাংলার মাতুলালয় ও জন্মস্থান” সাতুরিয়া মিঞা বংশের ইতিহাস, প্রথম প্রকাশ ১ জুলাই ২০০৯। কবি জীবনানন্দ দাশের ১১তম জন্মবার্ষিকীস্মরণে “ধানসিঁড়ি” প্রকাশ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০, “মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক” সংগ্রামী জননেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু- প্রকাশকাল সেপ্টেম্বর ২০১৪।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।