ঝালকাঠিতে বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পূর্ণিমার জোয়ারে ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীর পানি বৃদ্ধিতে শহরের কলাবাগান, পশ্চিম ঝালকাঠি, সুতালড়ি, কৃষ্ণকাঠি, গুরুদাম, বাসস্ট্যান্ট, পেট্রোল পাম্প, এলাকা তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় গ্রামে পানি প্রবেশ করায় নিমজ্জিত হয়েছে ২ শতাধিক পরিবার।
বুধবার দুপুরে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেই আবাসিক এলাকায় পানি উঠতে শুরু করে। দিনে এবং রাতে ২ বার জোয়ার এলে ২ বারই পারি ওঠে ২ শতাধিক বাসিন্দাদের ঘরের মেঝে পানি প্রবেশ করে। বাসিন্দাদের যাতায়াতের পথ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার স্কুল ছুটি হবার পরে শিক্ষার্থীরা বাসায় ফেরার সময় কয়েকজনে হোঁচট খেয়ে পড়ে বই খাতা ভিজে গেছে। বসতবাড়ির ফ্লোরে ও রান্না ঘরে পানি ওঠায় তাদের রান্না করতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানায়।
বাসিন্দা শ্রমজীবী আজিজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে পানি ওঠে ঘরের মেঝে তলিয়ে গেছে। আজও (বুধবার) পানি উঠছে। এতে বসবাস এবং হাঁস-মুরগী পালন কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
গৃহিনী রেকসোনা বেগম বলেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। নদীর পাশের এলাকায় একটু পানি বাড়লে আমাদের এখানে পানি ওঠে। বাসার সামনে হাঁস সাতার কাটে। মনে হয় দ্বীপের মধ্যে বসবাস করছি।
এছাড়া নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি, নাচনমহল, মগড় ও দপদপিয়া প্লাবিত হয়েছে। রাজাপুরে বিষখালি ও হালতা নদীর পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার বড়ইয়া ও মঠবাড়ি এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া, পাটিকেলঘাটা ও চেচড়িরামপুর ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওই সকল এলাকার সদ্য রোপন করা আমনের বীচতলা, বিভিন্ন প্রকারের সবজী ও ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা। মাছের ঘেরগুলো তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। পানি বৃদ্ধিতে নদীতীরবর্তী ১১টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।