ইংলিশ লিগের ট্রান্সফার রেকর্ড
ইংলিশ লিগের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর সময়সীমা শেষ হয়। এতে খেলোয়াড় কেনাবেচায় রেকর্ড ৮৭০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে ইংলিশ ক্লাবগুলো। গত মৌসুমে এর পরিমান ছিল ৮৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড।
চলতি বছরের জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে ইংলিশ লিগ থেকে ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়। দুটো ট্রান্সফার উইন্ডো মিলিয়ে অঙ্কটা গিয়ে দাঁড়ায় ১ বিলিয়ন পাউন্ডে! যা এক হাজার মিলিয়ন পাউন্ডের সমান।
ডেলোইটের স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার অ্যালেক্স থ্রোপ বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের ২০টি ক্লাব বর্তমানে রাজস্বের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে। বিদেশী ক্লাব থেকে খেলোয়াড় কিনতে তারা অর্ধ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি ব্যয় করে।’
সামার ট্রান্সফার উইন্ডোতে ইউরোপের অন্যান্য লিগের তুলনায় ইংলিশ লিগের ব্যয় দ্বিগুনেরও বেশি। মূলত, টেলিভিশনের সম্প্রচার স্বত্ত্ব বাবদ ইংলিশ লিগের ক্লাবগুলোর আয় বেড়ে যাওয়াতেই দলবদলের বাজারে তাদের এতো দাপট!
সামার ট্রান্সফার উইন্ডোতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে ম্যানচেস্টার সিটি। এ মৌসুমে রাহিম স্টার্লিং, নিকোলাস ওটামেন্ডি ও কেভিন ডি ব্রুইনের মতো তারকা খেলোয়াড় দলে ভেড়ায় সিটিজেনরা। সব মিলিয়ে ইংলিশ জায়ান্টদের ১৬০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়।
ইংলিশ লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে সুযোগ পাওয়া চার দল ম্যানসিটি, ম্যানইউ, চেলসি, আর্সেনালের মোট ব্যয় ৩৪০ মিলিয়ন পাউন্ড। যা ট্রান্সফার উইন্ডোতে ইংলিশ লিগের মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের মধ্যে সিরি আ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ইতালিয়ান লিগের ক্লাবগুলো মোট ৪০৫ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে। এর পরেই লা লিগার অবস্থান। স্প্যানিশ লিগের ব্যয় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড। ২৯০ ও ২২০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে যথাক্রমে চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছে জার্মানির বুন্দেসলিগা ও ফ্রান্সের লিগ ওয়ান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।