দামুড়হুদায় যাত্রিবাহী বাস থামিয়ে হুন্ডির ৪০ লাখ টাকা ছিনতায়
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা রেলগেট নামক স্থানে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি যাত্রিবাহী বাস থামিয়ে অজ্ঞাত ছিনতায়কারীরা হুন্ডির টাকা পাচারকারী শ্রী সনাতন হালদার ও সাইফুল ইসলামের কাছে অবৈদ টাকা আছে বলে বাস থেকে নামিয়ে নেয়। বাস থেকে সনাতন হালদার ও সাইফুল ইসলাম নেমে আসলে তাদের কাছে থাকা ৪০ লাখ টাকর ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত ছিনতায়কারীরা একটি কোলো রংয়ের এ্যাপাচি মোটরসাইকেল যোগে চুযাডাঙ্গার দিকে পালিয়ে যায়।
রবিবার বেলা একটার দিকে এঘটনা ঘটে। সনাতন হালদার সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয় স্কুল পাড়ার ঝন্টু হালদারের ছেলে এবং সাইফুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গাতির পাড়ার আ. রশিদের ছেলে।
তবে এই ছিনতায়ের ঘটনাটি সন্দেহের চোখে দেখছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা এটা সাজানো নাটোক।
শ্রী সনাতন ও সাইফুল জানায়, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার দর্শনা-আকুন্দবাড়ি গাং পাড়ার আলী আহাম্মদের ছেলে এনামুল হক ওরফে ঈমান’র ভারতীয় গরু ব্যবসার ৪০ লাখ টাকা নিয়ে দর্শনা বাস ষ্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠে চুয়াডাঙ্গা ইউসিবিএল ব্যাংকে যাচ্ছিলাম টাকাগুলো জমা দিতে।
এগুলো কি হুন্ডির টাকা জিজ্ঞাস করলে তারা জানায়, আমরা জানিনা। টাকাগুলো ব্যাংকে পৌছিয়ে দিলে ঈমান আমাদেরকে ৫শ টাকা করে হাজিরা দেয়।
টাকার মালিক ঈমান আলী টাকা হারিয়ে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব না হওয়ায় টাকার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিজান জানন, এটা প্রকৃত ছিনতায় কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সব কিছু শুনে মনে হচ্ছে এটা একটা সাজানো নাটক। টাকার মালিককে ধোকা দিতেই এটা সাজানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ করলে তদন্তে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।