মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ফলাফল প্রকাশের পর বাধ ভাঙ্গা উল্লাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। অপর দিকে ঝালকাঠির দুটি সরকারী বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।

ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ কারী ২৬৬ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২৭ জন। বাকি ৩৯ জন জিপিএ ৪ পেয়ে মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়ায় মাদ্রাসা বোর্ডে এ প্রতিষ্ঠানটি ২ য় স্থান অধিকার করেছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান বলেন, দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ক্লাস টেস্ট গ্রহণ, দুর্বল ছাত্রদের জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে ফীডব্যাক ক্লাস, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, আবাসিক ছাত্রদের জন্য ঘণ্টাওয়ারী পরিদর্শক ও টিউটর শিক্ষকের ব্যবস্থা এবং অভিভাবক সম্মেলনসহ অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার কারণে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাসমূহে এ প্রতিষ্ঠান বরাবরই গৌরবোজ্জল ফলাফল লাভ করছে। আগামী দিনে এ প্রতিষ্ঠানের চাত্ররা আরো ভাল ফলাফল করবে বলে আশা প্রকাশ করে এ ব্যপারে শিক্ষক, অভিভাবক এবং সর্বমহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 

এছাড়াও নেছারাবাদ জিনাতুন্নেছা মহিলা মাদ্রাসা থেকে ৪৬ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৬ জন জিপিএ ৫ পেয়ে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। নতুন বাসস্ট্যান্ট সংলগ্ন কুতুবনগর আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় ২৪ জন অংশ গ্রহণ করে ৫ জন জিপিএ ৫ পেয়ে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। ঝালকাঠি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৩৯ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯ জন জিপিএ ৫ পেয়ে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। 

অপরদিকে ঝালকাঠি সরকারী দুটি বিদ্যালয়ে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১৫৬ জন অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫২ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩ জন। সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১১৭৮ জন অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬৮ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৬ জন। উদ্বোধন বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪৩ জন অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১১৩ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।