- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকের
উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকের
লালমনিরহাটে এবার চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের দাম মণ প্রতি কমেছে প্রায় ২শ’ টাকা। উৎপাদন খরচ না উঠায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। এক মণ ধান বিক্রি করে মিলছে না দুই জন শ্রমিকের মজুরি। প্রতি বছর নতুন ধান বিক্রির মৌসুমে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন এ দেশের প্রান্তিক চাষিরা। ফলে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার দঃ গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম, আঃ সামাদ, আকতার আলী জানান, এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সেচ খরচ ৩৫০০ টাকা, চাষ বাবদ ১২০০ টাকা, ধানের চারা বাবদ ৪০০ টাকা, রোপণ ও কাটা বাবদ ২৫০০ টাকা, কীটনাশক, সার ও শ্রমিক বাবদ ৩৫০০ টাকা খরচ হয়। মোট খরচ হয় প্রায় ১১ হাজার ১শ টাকা। এ বছর ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে বোরো ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। বিঘা প্রতি ২৭ মণ ধান উৎপাদনের পরিবর্তে এ বছর ধান হবে ১৮-২০ মণের মতো। ফলে ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠছে না।
জেলার কালীগঞ্চ উপজেলার চাপারহাটে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক সামসুল আলী, করিম মণ্ডল ও আব্বাস আলী জানান, প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে ৫ শত থেকে সাড়ে ৫ শত টাকা পর্যন্ত। এক মণ ধান বিক্রি করে দুইটা জন শ্রমিকের দাম হচ্ছে না। ধান বিক্রি করতে আসা কয়েকজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যত মরণ এ দেশের কৃষকের। সার, বীজ ও কীটনাশক কেনার সময় তারা প্রতারিত হয়। আবার ধান বিক্রির সময় ন্যায্যমূল্য থেকেও বঞ্চিত হতে হয়।
লালমনিরহাটের ধান ব্যবসায়ীরা জানান, ২০ দিন আগে হিরা ধান মণ প্রতি বিক্রি হতো ৭৫০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। মণ প্রতি কমেছে ২০০ টাকা। এবং যে চাল বিক্রি হতো ২৮ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৫ টাকা দরে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।