কেমন হবে তাদের মেয়র
মেয়র নির্বাচনে নিয়ে চলছে জোর প্রচারনা। এ সকল প্রচারনায় সাধারন মানুষের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন মিডিয়া এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারা। তাদের মতে কেমন হওয়া উচিৎ মহানগরের মেয়র।
রিয়াজ
আমি আসলে নির্বাচনের কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। রাজনীতির জায়গা আর তারকাদের জায়গা সম্পূর্ন ভিন্ন। তারকরা দেশের সকলের।এখানে কোন পক্ষ বা রাজনীতির বিষয় আনতে চাই না। সাধারন মানুষ হিসেবেই থাকতে চাই। এর বেশী কিছু নয়।
মামুনুর রশীদ
সুষ্ঠু সংস্কৃতির বিকাশে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব অনেক। তাই এমন একজন মেয়র চাই যিনি হবেন সংস্কৃতিমনা। যার হাত ধরেই ঢাকাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হবে। অনেক মেয়র প্রার্থীই ঢাকাকে বিভিন্ন ভাবে গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সংস্কৃতি বান্ধব ঢাকা গড়ার জন্যে কি করবেন তা বলছেন না।
শাফিন আহমেদ
এবার বেশীরভাগই নতুন প্রজন্মের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার জন্য একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তবে গত তিন চার দিনে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনা আমি প্রত্যাশা করিনি এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে। আমি ঢাকা উত্তরের ভোটার। আমি চাই এখান থেকে এমন কেউ নির্বাচিত হোক যার চিন্তা ভাবনা এবং মেয়র হওয়ার পর কার্যকলাপ গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার বাইরে থাকবে। সকল প্রার্থীর জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
বিদ্যা সিনহা মীম
এমন একজনকে মেয়র হিসেবে দেখতে চাই যিনি আমাদের এ শহরের আসল সমস্যাগুলকে সমস্যা হিসেবে দেখবেন। পাশাপাশি সমাধানেও এগিয়ে আসবে। এ শহরের একটি বড় সমস্যা জ্যাম। এরপর রাস্তায় ছিনতাইসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের শহরটাকে লন্ডন বা আমারিকারমত করে দেখতে চাই। রাজধানী বলতে যা বোঝায়- সব ধরনের সমস্যামুক্ত এবং সুন্দর একটি সবুজ নগরী হবে ঢাকা। এখন যেমন ভোটারদের কাছে গিয়ে খুব আন্তরিকভাবে কথা বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পরেও যেন সাধারন মানুষের প্রতি তার এ ধরনের ব্যাবহার বা ভালোবাসা থাকে। তাকেই সমর্থন দেবো, যিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে থাকবেন।
রোকেয়া প্রাচী
প্রথম কথা হচ্ছে ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে নারীকে গুরুত্ব দিতে হবে। ঘরে বাইরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যে পৃথক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, গণপরিবহনে নারীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে। একজন সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে ঢাকার দুই মেয়রে কাছে আমার চাওয়া বিনোদন বান্ধব একটি শহর। যেখানে পর্যাপ্ত থিয়েটার, প্রেক্ষাগৃহ, খেলার মাঠ তথা পরিপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
আরেফিন শুভ
তারকারা বললেই তো হবে না। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হন তারা ভোটের সময় অনেক বড় বড় ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন নির্বাচন শেষ হয়ে যায়, তখন ভিন্ন চিত্র। সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই তাদের প্রতিশ্রুতিগুলোও ফিকে হয়ে যেতে থাকে। নির্বাচনের সময় আমাদের সম্মানীত প্রার্থীরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন তারা যদি শেষ পর্যন্ত সে কথাগুলো রক্ষা করেন তাতেই আমি খুশি। একজন নেতা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে। যিনি নগর পিতা নির্বাচিত হবেন, তার অনেক দায়িত্ব থাকে। আমার প্রত্যাশা যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছেন সেগুলো রক্ষা করবেন।
ওমর সানী
যে দেশকে ভালোবাসবে, এ নগরকে ভালোবাসবে তাকেই সমর্থন দেবো। নির্বাচনের সময় আমাদের দেশের বেশীরভাগ রাজেনৈতিক নেতাদের সাধারন মানুষের কথা খুব বেশী মনে পড়ে। এরপর কি করে যেন তাদের স্বরূপ আবার পাল্টে যায়। এমন একজনকে নেতা হিসেবে দেখতে চাই যে এ সবসময় সাধারন মানুষের কথা ভাববে। তাদের সমস্যা বা অসুবিধা নিয়ে কাজ করবে। দেশের মানুষ বা সাধারন মানুষের সমস্যাগুলোই তাদের সমস্যা হয়ে উঠবে। যিনি নগর পিতা হবেন, তিনি যেন সত্যিকার রূপেই নগরের পিতার দায়িত্ব পালন করেন- এটাই তার কাছে আমার মূল চাওয়া।
চঞ্চল চৌধুরী
তথাকথিত রাজনীতির বাইরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে যারা থাকবে বা কাজ করবে, আমি তাদের পক্ষে থাকব। এছাড়া রাজধানী ঢাকার উন্নয়নের একটি বিষয় রয়েছে। ঢাকাকে সুন্দর ও বসবাসের যোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যারা কাজ করবে, তাদের সমর্থন করি আমি। যারা প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ, তাদের বেশীরভাগ নির্বাচনের সময় বড় বড় কথা বলে। কিন্তু নির্বাচনের পার হয়ে গেলে তাদের আর কোন খবর থাকে না। যারা জনগনের জন্য কাজ করবে বা সাধারন মানুষের কথা ভাববে তাদেরকেই সমর্থন দেবো। এখন সামনে নির্বাচন, যার কারনে দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু নির্বাচন শেষে দেশের কি অবস্থা হবে সে বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। সর্বোপরি যারা দেশের কথা ভাববে এবং কাজ করবে তাদেরকেই ভোট এবং সমর্থন দিব।
কাজী শুভ
২৮ তারিখের নির্বাচন নিয়ে চারদিকে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। বেশ ভালোই লাগছে। এমন একজনকে আমার এলাকার (ঢাকা উত্তর) মেয়র পদে দেখতে চাই যিনি ঢাকাবাসীর কষ্টগুলো বুঝবেন এবং তা সমাধানে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। এর বেশি কিছু বলার নেই। মেয়র পদপ্রার্থী সবার জন্য শুভকামনা রইলো এবং যেই জিতবে আমাদের সমস্যা আমাদের সমস্যা সমাধানে তিনি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবেন এই ব্যাপারে আশাবাদী আমি।
বেলাল খান
আমি ঢাকা উত্তরের ভোটার। এমন কাউকেই মেয়র পদে দেখতে চাই যিনি মানসিকতায় হবেন তরুণ, যিনি আধুনিক রুচিসম্পন্ন, সনাতন ধ্যান ধারণার বাইরে অবস্থান করেন। আমার দৃষ্টিতে এমন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি ঢাকার মেয়র হলে ঢাকার সত্যিকারের উন্নয়ন হবে। এমন একজন সুযোগ্য মেয়র দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।