শিবগঞ্জে আবারও যৌথবাহিনীর সাথে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের হামলার অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আবারও যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় অজ্ঞাত মুখোশধারীদের হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দিবাগত গভীর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নে যৌথবাহিনী অভিযানের সময় আসামী না পেয়ে কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ১৭জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে শ্যামপুরের এ.কিউ চৌধুরী নারী কল্যাণ স্কুল মোড়ে অবস্থিত ৫টি ছোট মুদিখানার দোকান ভাংচুর করে মুখোশধারীরা।
এসব দোকানের মালিক মুসলিম, মাসুদ রানা, রবিউল ইসলাম, নাজির হোসেন ও আমিনুল ইসলাম চুটু অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দোকান ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীরা। প্রশাসনকে সাথে নিয়ে তারা এঘটনা ঘটিয়েছে। তবে তারা আরো বলেন, প্রশাসন কখনো এ ধরণের কাজ করতে পারেনা। প্রশাসন আসামী ধরার জন্য অভিযান চালাতে পারে কিন্তু তারা আমাদের দোকান ভাংচুর করতে পারেনা। আমাদের দোকান ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। এছাড়া শ্যামপুর গোপালনগর এলাকায় অবস্থিত দেলওয়ার হোসেন, উমরপুর গ্রামে মিজান ও সোহবুল হোসেনের বাড়িতে হামলার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি ময়নুল ইসলাম জানান, দোকানপাট ভাংচুরের বিষয়ে আমি অবগত না। যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের-১২ ও পুলিশের একক অভিযানে ৫জন মোট ১৭জনকে আটক করেছে। এছাড়া যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে তাদের সাথে কোন মুখোশধারী বা আওয়ামী লীগের কেউ ছিল না। দোকান ভাংচুর যদি হয়েই থাকে তাহলে জামায়াত-শিবির-বিএনপির কর্মীরাই তা করেছে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারী শিবগঞ্জের কানসাট, রসুলপুর ও অনান্য এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে মুখোশধারীরা ব্যপক ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর সদর উপজেলার রানীহাটীতেও একই ধরনের হামলার অভিযোগ করেছিল জামায়াত।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।