৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলবালিকার সন্তান প্রসব
ভারতের মাইনর স্কুলে সরকারি হোস্টেলে থাকা দুই নাবালিকার সন্তান প্রসবের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে উড়িষ্যায়। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই এই দুটি প্রসবের ঘটনা ঘটে।
উড়িষ্যায় কোরাপুট জেলার এই স্কুলটি তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য রাষ্ট্রীয় আবাসিক স্কুল হিসাবে পরিচালিত। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত একজন ছাত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এর ১২ দিন আগে এই স্কুলের ৫ম শ্রেণির আরেক ছাত্রীও পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে খবর হয়। মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে পরপর দুটি প্রসবের ঘটনায় এলাকাজুড়েই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ দুটি প্রসবের ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ দায়িত্বপালনে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। এমন কী স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুরো ব্যাপারটি গোপন করার চেষ্টারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রসূতিদের সর্বনিম্ন স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদানে করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৈলাশ চরণ ব্রহ্মাকে ও ছাত্রাবাস সুপার সবিতা গুরুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।
প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ১২ বছর বয়সী সন্তান প্রসবকারী ষষ্ঠ শ্রেণির মেয়েটির বাবা একজন দিনমজুর । মেয়েটি গত বছর স্কুলে ভর্তি হয়। প্রধান শিক্ষক জানান, মেয়েটি লিখিতভাবে জানিয়েছে মেয়েটির এক আত্মীয় তার সন্তানের পিতা।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী গর্ভবতী হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সুকান্ত প্রধান ওরফে টুনা (২৪) নামের যুবককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোরাপুট জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত স্কুলটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৭০। ১৫০ মেয়ে সহ প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।