ঝালকাঠিতে শিশু বিদ্যালয় রক্ষার দাবী
ঝালকাঠি শহরের পশ্চিম চাঁদকাঠিস্থ (টিএন্ডটি রোড) আব্দুল ওয়াজেদের নামে ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্যাংগুইন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল উৎখাত করে দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্পত্তির বর্তমান মোতাওয়াল্লী মনিরুল ইসলাম। মনিরুল ইসলামের দাবি ওয়াজেদ তার দাদা হওয়ায় বংশধর হিসেবে তিনি মোতয়াল্লি নিযুক্ত হন। বুধবার সকাল ১০ টায় শহরের কালিবাড়ি রোডস্থ একটি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোতাওয়াল্লির ভাই বাবুল মিয়া, তৌহিদুল ইসলাম, স্থানীয় মোঃ গিয়াস উদ্দিন পাশা, খলিলুর রহমান মিয়া। লিখিত বক্তব্যে মনির বলেন, ওয়াজেদ ও তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার পুত্র বধূ আকিকুননেছা ওরফে তাহেরুন্নেছা ওয়াফিক এর দলিল সুত্রে ওয়াকফ সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। তার মৃত্যুর পর তার কন্যা মোসা: লুৎফুন্নেছা মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। তিনি বৃদ্ধা ও অসুস্থ হাওয়ার কারন দেখিয়ে মোতাওয়ালী থেকে অব্যাহতি নেন।
এরপর আমি মনিরুল ইসলাম ১ম ওয়াফিক দলিলের ১৩নং শর্ত অনুয়ায়ী আমার দাদার বংশধর হিসাবে মোতাওয়াল্লীর জন্য গত ১০ মার্চ ২০১০ সনে বাংলাদেশ সরকারের ওয়াকফ প্রশাসকের কাছে আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায় তদন্ত শেষে গত ২৪ নভেম্বর ২০১১ সনে আমাকে ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের জেলার ৫.৭৭ একর সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়। যার স্মারক নং ও:প্র:বরি:/ ৩৬৫ তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ইং। সেই থেকে আজ আমি মোতাওয়ালী হিসাবে নিযুক্ত আছি।
কিন্তু পূর্বের মোতাওয়াল্লী আকিকুননেছা ওরফে তাহেরুন্নেছা ও তার কন্যা লুৎফুননেছা স্থানীয় ভূমিদস্যু মাসুদ হোসেন বাদলের সহায়তায় সরকারের ওয়াকফ এর বিশাল সম্পত্তি জাল -জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া বিক্রয়ের অনুমতিপত্র তৈরী করেন। তারা বাংলাদেশ সরকারের ওয়াকফ প্রশাসকের এবং ধর্ম মন্ত্রনালয়ের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ১৯৮০,১৯৮৯ এবং ১৯৯৪ সালে এই সম্পত্তি বিক্রয় করে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাত করে। আকিকুনন্নেছার মৃত্যুর কয়েক বছর পর তার কন্যা লুৎফুন্নেছা মোতাওয়াল্লী হিসাবে গত ৩ জুন ২০০৮ সনে ঝালকাঠির চাঁদকাঠি মৌজার মোট .২৯ শতাংশ জমি বিক্রির অনুমতিপত্র বের করেন। যার নং ও:প্র:বরি:২৫৬। এই অনুমতিপত্রটি ওয়াকফ প্রশাসকের প্রথম অনুমতিপত্র। এর আগে তিনি কোন অনুমতিপত্র দেন নাই।
এই ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি করতে গিয়ে দেখা যায় তার মা আকিকুনন্নেছা জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে ভূয়া অনুমতিপত্র বের করে ইতিপূর্বেই জমি বিক্রি করে গেছেন। বিষয়টি ধরা পরার ভয়ে লুৎফুন্নেছা সুকৌশলে নিজকে একজন বৃদ্ধা অসুস্থ দেখিয়ে মোতাওয়ালী থেকে অব্যহতি নেন। তাই সমূদয় সম্পত্তি রক্ষা ও উদ্ধারের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমাকে অনুমতি প্রদান করা হয়। তাই আমি বাদী হয়ে ওয়াকফ সম্পত্তির রেজিস্ট্রিকৃত দলিল বাতিল চেয়ে পর্য়াযক্রমে ঝালকাঠি জজ আদালতে ৫টি মামলা দায়ের করি। যার নং- ৫৮/১২, ১৫৯/১৩,১৬০/১৩, ২০১/১৩, ২৫/১৪ )। এসব মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।
এই সম্পত্তিতে পরিচালিত স্যাংগুইন ইংলিশ মিডিয়াম শিশু বিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের পরিচালক শাহিন খলিফা ভাড়াটিয়া হিসেবে সম্প্রতি মোতাওয়াল্লী হিসেবে আমার সাথে চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হন। কিন্তু গত ৮ জানুযারি মাসুদ হোসেন বাদল গং একদল সন্ত্রাসীদের নিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে দখল নেয়। এতে শিশুরা তাদের শিক্ষা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়ে পরেছে।
ওয়াকিফ দলিলের বিধান লংঘন করে এই সম্পত্তির মালিকের বংশধর না হয়েও মিথ্যা পরিচয়ে বাদল ওয়াকফ সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী হবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এব্যাপারে মোতাওয়াল্লী মনির ঝালকাঠির কৃতি সন্তান ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।