দিনাজপুরে রেলওয়ের লোহা চুরি
দিনাজপুর ষ্টেশন এলাকা থেকে রেলওয়ের লোহা দীর্ঘদিন থেকে চুরি হচ্ছে। চুরির মাল বিক্রি করে অনেকে হয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। চুরির মাল পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও চোরকে ঘটনাস্থল থেকে মোটা অংকের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে।
জানাযায়, দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ডুয়েল গেজের কাজসহ বিভিন্ন ব্রিজ মেরামতের কাজ তমা কন্সট্রাকশন কোম্পানী নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি শুরু করে প্রায় বছর খানেক আগে। ডুয়েল গেজের কাজ হওয়ার কারণে পূর্বের মিটার গেজের লাইন থেকে শুরু করে সকল কিছু উত্তোলন করে নতুন করে লাইন বসানো শুরু করে। পুরাতন লাইনসহ সকল মালামাল উত্তোলন করে দিনাজপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের দক্ষিণে একটি গোডাউন তৈরি করে তমা কন্সট্রাকশন কোম্পানীর অধীনে থাকে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উক্ত গোডাউনের জন্য পৃথক দুটি শিপটের জন্য ৪ জন প্রহরী নিয়োগ দেয়।
দিনাজপুর রেলওয়ে সূত্রে জানাযায়, রেলওয়ের কাজ যেদিন থেকে তমা কন্সট্রাকশন কোম্পানী শুরু করেছে সেদিন থেকে গোডাউন থেকে রেলের মূল্যবান লোহা চুরি হচ্ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ নভেম্বর শষ্টিতলা মোড় এলাকায় এক ভ্যান লোহা আটক করে। পরে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি রফাদফা করে চোররা।
গত ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময় দিনাজপুর কোতয়ালী থানার টহলরত পুলিশের একটি গাড়ি চোরসহ আবারো এক ভ্যান রেলের লোহা আটক করে। এ সময় পুলিশের দলটির নেতৃত্বে থাকেন দিনাজপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপেন্দ্র নাথ রায়। পরে নগদ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে চোরদের ছেড়ে দিলেও লোহাগুলো ভ্যানসহ থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপেন্দ্র নাথের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমেই শহরের এক রাজনৈতিক নেতার আত্মীয় বলে দাবি করেন। এ ঘটনা সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে সে বলে মালটা কার এখন পর্যন্ত কেউ দাবি করতে আসেনি। রেলওয়ের মালামাল হওয়া সত্ত্বেও জিআরপি পুলিশকে অবগত করার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। ঘটনাস্থলে চোরদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কোন চোর পাইনি মালামাল গুলো পেয়েছি। অথচ পরদিন সকালে সংবদ্ধ চোররা দিপেন্দ্রনাথের ঈদগাহ আবাসিক এলাকার বাড়িতে বাজার থেকে বড় মাছ, খাসির মাংস পৌছে দেয়।
এব্যাপারে কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত কর্মকর্তা ) বলেন, যেই অন্যায়ের সাথে জড়িত হউক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন যেসকল পুলিশ সদস্য নিজে অপরাধ করার পর কোন রাজনৈতিক নেতার কাধে বন্দুক রেখে গুলি চালাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দেওয়া উচিৎ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।