নিজের দলের ভরাডুবি দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ‘হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ’-এর পর সেনেটেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকানরা। মঙ্গলবার মধ্যবর্তী নির্বাচনে সেনেটেরও দখল নিলো তারা। গত আট বছরে একবারও এমন হয়নি।

তবে বিশ্লেষকরা এমনটিই অনুমান করছিলেন। বারাক ওবামার নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট সরকার যুক্তরাষ্ট্রে আরো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিলেও হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভ, অর্থাৎ কংগ্রেসের নিম্মকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। উচ্চকক্ষ, অর্থাৎ সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের মাত্র ছয়টি আসনের দরকার ছিল। ওবামার প্রতিপক্ষরা এবার তা-ও পেয়ে গেছে। ফলে নিম্নকক্ষ এবং উচ্চকক্ষ রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্য এখন দ্বিতীয় মেয়াদের বাকি সময়টা কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

৪ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সেনেটে একশ আসনের মধ্যে অন্তত ৫২টি আসনের দরকার ছিল রিপাবলিকানদের। ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে সাতটি আসন কেড়ে নিয়ে সেই লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে তারা। ফলে প্রেসিডেন্ট হবার আগে বারাক ওবামা সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশকে যে অবস্থায় দেখেছিলেন, এখন নিজেই পড়েছেন ঠিক সেই অবস্থায়। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভ এবং সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে বসেছিল তাঁর দল। এবার ঠিক উল্টো চিত্র। যুক্তরাষ্টের ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি' (জিওপি) ডেমেক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মেয়াদ শেষের দু'বছর আগেই প্রতিনিধি সভা এবং সেনেটে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল। দলটি এখন ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত এই ধারা বজায় রেখে ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করবে – এটাই স্বাভাবিক।

ডেমোক্র্যাটরা সেনেটে নিজেদের হার মেনে নিয়ে প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানাতে দেরি করেনি। এক বিবৃতিতে ডেমোক্র্যাট নেতা হ্যারি রিড বলেছেন, ‘‘ভোটে ভোটাররা যে বার্তা দিয়েছেন তা খুব পরিষ্কার। তাঁরা চান, আমরা এখন মিলেমিশে কাজ করি।'' সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবার পর রিপাবলিকানরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।