লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ওমানি টুপি বুনিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার পথে কয়েক’শ পরিবার। মেঘনা উপকূলীয় উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ রামগতির সাহাপাড়া, হাজীপাড়া, আদর্শপাড়া এবং আলেকজাণ্ডারের পণ্ডিত পাড়ার মহিলা সদস্যরা পরিবারের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে টুপি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

এ টুপি যাচ্ছে ঢাকা-চট্রগ্রাম এবং ওমানসহ বিভিন্ন দেশে। এখানকার তৈরীকৃত টুপি দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। সরকারি বা কোন দাতা সংস্থার সহযোগীতা পেলে এ পেশায় আরো বহু মহিলার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশ স্বনির্ভর হওয়া সহ আরো প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। 

রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে টুপি বুনিয়ে স্বনির্ভর হতে চায় শতাধিক পরিবার। সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে মহিলারা এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা টুপি বুনিয়ে বাড়তি টাকা রোজগার করছে। 

সূত্রে জানা যায়, গ্রামের মহিলারা নিজেদের উদ্বেগে টুপি বুনিয়ে স্বনির্ভর হতে চলছে। একটি টুপি বুনতে তাদের কারো এক সপ্তাহ কারো দুই সপ্তাহ সময় লাগে। সাধারণত একটি টুপি বুনতে খরচ হয় ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা আর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে । এখানকার তৈরীকৃত টুপি  ঢাকা-চট্রগ্রাম সহ দেশের বাহিরে ওমানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ওই টুপি রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি দেশীয় অর্থনীতিতে দারুন ভূমিকা রাখছে।

টুপি উৎপাদন কাজের সাথে জড়িতদের প্রত্যাশা সরকারি কিংবা বেসরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে এ শিল্প থেকে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সহ স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।