যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য বিএনপি’র বিচার দাবী করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। 

তিনি জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য যে কাজ করছেন- তার জন্য তাকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য বেগম জিয়া যেভাবে উঠেপড়ে নেমেছেন, সেজন্য তাকে দেশের মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে।

জোটের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।

ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মায়া বলেন, বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচন চাওয়ার কোন অধিকার নেই। কেননা তারা সংসদেও নেই, রাজপথেও নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের শুধু আশ্রয়-প্রশ্রয়ই দেয়নি, তারা তাদের স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার করেছে। তারা জঙ্গিদের সাথেও হাত মিলিয়েছে।

তিনি বলেন, তাই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকদের সাথে সরকারের কোন আলোচনা হতে পারে না।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মায়া বলেন, বিএনপি এখন নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে। মাঝিবিহীন নৌকার মতো বিএনপি লক্ষ্যহীন ভাবে চলছে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের আগে দেশে কোন জাতীয় নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী যেমন নির্বাচন হয়েছে তেমনিভাবেই আগামী নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অবস্থা বর্তমান মুসলিম লীগের মতো হবে। আর এ দু’দলের নীতি ও আদর্শের মধ্যেও কোন পার্থক্য নেই।

মায়া বলেন, দেশে কোথাও হরতাল নেই। দেশের মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজধানীসহ সারাদেশে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।

তিনি বলেন, হরতালের মাধ্যমে যারা নাশকতা করতে চেয়েছিল তাদের অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেশের জনগণ হরতাল প্রত্যাখান করেছে। হরতাল প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ে সন্তষ্ট এবং তারা দ্রুত এ রায়কে কার্যকর দেখতে চায়।

তিনি বিগত সময়ের মতো জনগনের জানমাল রক্ষায় নিজ নিজ এলাকায় বৃহস্পতিবারের হরতালেও জনগণের পাশে থাকার জন্য ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।