দীর্ঘ প্রায় এক যুগ বন্ধ থাকার পর নিউ ইয়র্কে নতুন করে নির্মিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ব্যবসার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার ১৩ বছর পরে নিউ ইয়র্ক শহরে নুতন তৈরী ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের শুভ উদ্বোধন হলো। আনুষ্ঠানিকতা শেষে গত সোমবার থেকে ব্যস্ততা শুরু হল এই বাণিজ্য কেন্দ্রে।

যে স্থানে টুইন টাওয়ার দাঁড়িয়ে ছিল সে একই স্থানে ১৬ একর জমির কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয়েছে এ ভবন, যার উচ্চতা ৫৪১মিটার। আকাশচুম্বী এই ভবনটি তৈরী করতে খরচ হয়েছে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ম্যানহেটেন শহরের আকাশচুম্বী ভবনগুলোর অন্যতম এই দালানটি উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ ভবন। 

১০৪ তলা এই বহুতলে প্রাথমিকভাবে বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা কন্ডে ননাষ্ট অফিস শুরু করেছে। এছাড়াও সরকারি জেনারেল সাভির্সেস এডমিনিষ্ট্রেশন, চায়না সেন্টার, বিজ্ঞাপন সংস্থা, বিনিয়োগ এবং বিনোদন প্রতিষ্ঠানের অফিস থাকবে। পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা এখানে আসবে। নিউ ইয়র্কের বর্তমানে বৃহত্তম এই বহুতলটি গড়তে সময় লেগেছে আট বছর। এই নয়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ৬০ শতাংশ এলাকা মার্কিন প্রশাসন লিজ নিয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ শেষে ভবন পুনর্নির্মাণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক প্যাট্রিক ফোয়ি এক বিবৃতিতে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, নিউ ইয়র্কের আকাশ আবার পূর্ণ হয়ে গেলো। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ফের খুলে দেওয়া বড় ধরনের মাইলফলক। তিনি এ ভবনকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপদ অফিস বিল্ডিং হিসেবে উল্লেখ করেন।

নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি নগরীর বন্দর কর্তৃপক্ষ এই ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের স্বত্বাধিকারী। এ ভবনের সঙ্গেই থাকছে নাইন-ইলেভেনে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর। এছাড়া সবাই যাতে ভবনের ছাদে উঠে নিউ ইয়র্ক শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল কাইদা সন্ত্রাসীদের বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারখ্যাত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। ঐ হামলায় নিহত হয় প্রায় তিন হাজার মানুষ। আহত হয় ৬ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশিও ছিলেন কয়েকজন।