ঝালকাঠিতে যুবদলের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২৫, আটক ২
ঝালকাঠিতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়স্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যুবদল নেতা মিজান ফরাজী ও রফিক হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় দু’গ্রুপ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামীম তালুকদার তার বাসায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কামারপট্টিস্থ কার্যালয়ে কর্মসূচী পালন শেষে ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বাসায় ফেরার সময় কটুক্তি করে অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁদের হামলার জবাব দিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শামীম তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাফায়াত সরদার, যুবদল নেতা কিবরিয়া তালুকদার, শহিদুল ইসলাম শহিদ, মিজান, মাসুদ, ফরহাদসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা সকলেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সদর উপজেলা সভাপতি শওকত হোসেন খোকন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান পান্নু, শহর সভাপতি কিবরিয়া তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, জেলা যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, সবুজ মৃধা, মিজান ফরহাদ প্রমুখ।
অপর গ্রুপের জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান খান বাপ্পী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ও সভাপতি আলালের মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভা ও কেক কাটার সময় যুবদলের জেলা সভাপতি কামরুল ইসলাম ও সম্পাদক শামীম তালুকদারের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এতে মেহেদী হাসান বাপ্পী, রবিউল হোসেন তুহিন, আনিসুর রহমান তাপু, আল মাকসুদ কলিন্স, রিয়াজ হোসেন, বারেক হাওলাদার, মিজানুর রহমান মুবিন, জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান টিটুসহ ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে রিয়াজ হোসেন, জাহিদ হোসেন ও সুমন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কেন্দ্র অনুমোদিত জেলা যুবদলের ২ সদস্যের কমিটি দেওয়ার পরেও কিভাবে আহ্বায়ক কমিটি কার্যক্রম চালাতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বাপ্পী বলেন, যখন কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা যুবদলের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে তখন কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভুল বুঝিয়ে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করিয়েছে। পরে জেলা বিএনপির সুপারিশ বিহীন কমিটি অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানালে তারা মৌখিকভাবে ২ সদস্যের কমিটিকে স্থগিত করে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে যুবদলের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। হামলার প্রতিবাদে জেলার ৪ উপজেলায় মঙ্গলবার সকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়।
জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিকেল ৩ টার সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জেলা সহসভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টু, যুববিষয়ক সম্পাদক রবিউল হোসেন তুহিন, শহর সভাপতি অনাদী দাস, আনিচুর রহমান তাপু, শফিকুল ইসলাম লিটন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সাজু, এ্যাড. মিজানুর রহমান মুবিন প্রমুখ। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সদর থানার এসআই বাশার জানান, দু’গ্রুপের সংঘর্ষের শুরুতেই লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মিজান ও রফিক নামে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।