- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- বাগেরহাটে হত্যার দায়ে পর্যটকের মৃত্যুদণ্ড
বাগেরহাটে হত্যার দায়ে পর্যটকের মৃত্যুদণ্ড
বাগেরহাটের মংলায় এক হোটেল বয়কে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মো. সোলায়মান (৩৫) নামে এক পর্যটককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম সোলায়মান জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত মো. সোলায়মান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। মো. সোলায়মান নোয়াখালী জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মোহম্মদপুর গ্রামের মো. নবী উল্লাহর ছেলে।
নিহত মো. আল আমিন (১৮) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ভাট খালী গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। আল আমিন মংলা পোর্ট পৌরসভার আব্দুল হাই সড়কে অবস্থিত আবাসিক হোটেল সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত ছিল। সে মংলার বালুরমাঠ এলাকায় বসবাস করতো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৫ আগষ্ট নোয়াখালীর কমলগঞ্জ উপজেলার মোহম্মদপুর এলাকার মো.সোলায়মান নামে এক পর্যটক সাত আটজনকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন। এসময় তিনি মংলা পোর্ট পৌরসভার আবাসিক হোটেল সিঙ্গাপুরের পাঁচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। এই কক্ষে তার দেখভাল করতে হোটেল কর্তৃপক্ষ হোটেল বয় আল আমিনকে দায়িত্ব দেয়। এই হোটেলে থেকে তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখতে থাকেন।
দুই দিন পর ৭ আগষ্ট সোলায়মান হোটেলে এসে গভীর রাতে হোটেল বয় আল আমিনকে মারপিট করে আহত করার পর টাওয়েল গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাথরুমে ফেলে রেখে হোটেলে আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
পরদিন সকালে হোটেলের ব্যবস্থাপক মোসলেম উদ্দিন হাওলাদার হোটেলে এসে আল আমিনকে দেখতে না পেয়ে সজীব নামে আরেক হোটেল বয়কে পাঁচতলায় তাঁকে খুঁজতে পাঠায়। সজীব আল আমিনের মরদেহ বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখে হোটেল ব্যবস্থাপককে খবর দিলে তিনি মংলা থানা পুলিশ নিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হোটেলের ব্যবস্থাপক মোসলেম উদ্দিন হাওলাদার বাদি হয়ে মো. সোলায়মানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মংলা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুনছুর রহমান ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী মো. সোলায়মানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় নয় জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।