জোর পূর্বক ‘খতনা’ থেকে বাঁচতে পালাচ্ছেন পুরুষরা
আগস্টে খতনার মৌসুম শুরুর পর এখন পর্যন্ত অন্য সম্প্রদায়ের ১২ পুরুষকে ধরে জোর করে খতনা করিয়ে দিয়েছেন বুকুসুরা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই তথ্য। জোর পূর্বক এমন খতনা থেকে বাঁচতে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন কিংবা পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুধু খতনা নয়, উদ্বেগের আরো কারণ আছে। বুকুসু সম্প্রদায় খতনায় ব্যবহার করেন সনাতন পদ্ধতি। অর্থাৎ কোনো রকম ব্যথানাশক ব্যবহার না করে ছুরি দিয়ে কেটে নেয়া হয় পুরুষাঙ্গের সামনের অংশের উপরকার চামড়া। দিন কয়েক আগে এই কাজ করতে গিয়ে এক খতনাকারক ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরের পুরুষাঙ্গই কেটে ফেলেছেন। স্থানীয় এক পত্রিকায় এই খবর প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে।
কেনিয়ার মাওস ব্রিজ শহরে অবস্থানরত তুরকানা সম্প্রদায়ের পুরুষরা মূলত জোর পূর্বক খতনার শিকার হচ্ছেন। বুকুস সম্প্রদায়ের মানুষরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতনা করা হয়নি এমন পুরুষদের খুঁজে বের করছে এবং তাদের খতনা করে দিচ্ছেন।
তুরকানা সম্প্রদায়ের পুরুষদের যারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে পারছেন না, তারা এমন অবস্থা এড়াতে রাতে খেতে ঘুমাচ্ছেন। তবে এভাবে চলতে থাকলে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এদিকে পুলিশ বিষয়টি জানলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ওকুমু জানিয়েছেন, জোর পূর্বক খতনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। স্থানীয় বুকুসু নেতা ডাব্লিউ ডাব্লিউ ওয়ালিআওলা জানিয়েছেন, খতনা শরীরের জন্য উপকারী। আর সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এইচআইভি সংক্রমণ কমাতেও এটা সহায়ক, জানান তিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।