- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- প্রেমের ভারে ব্রিজে ধস
প্রেমের ভারে ব্রিজে ধস
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১৩ আগস্ট, ২০১৪
প্রিন্টঅঅ-অ+
এই তালার উদ্দেশ্য হলো সম্পর্কের অটুট বন্ধন। প্রেমিক বা প্রেমিকা তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে নিজের নামটা লিখে ঐ তালা ব্রিজে আটকে চাবিটা নদীতে ফেলে দেন। তাঁদের বিশ্বাস, এর ফলে সম্পর্ক ঐ তালার মতো দীর্ঘ সময় জোড়া লেগে থাকবে। প্যারিসকে বলা হয় প্রেমের নগরী। তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখানে প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিচরণ চোখে পড়ার মতো। এ কারণে ব্রিজে তালার সংখ্যাটাও তুলনামূলকভাবে অন্যান্য শহরের চেয়ে বেশি।
গত জুন মাসে সেখানকার একটি ব্রিজ নাকি এ সমস্ত তালার ভারে ধসে পড়েছে। হেলে পড়েছে একপাশের রেলিং। তাই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যটকদের জরুরিভিত্তিতে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেই ব্রিজের আশপাশ থেকে।
তাই কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। পর্যটক যুগলদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে যাতে তাঁরা হুজুগে মেতে আর তালা না লাগান। গত সোমবার প্যারিসের সিটি হলে কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে একটি আবেদন জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও শুরু হয়েছে প্রচার। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে #lovewithoutlocks লিখে তা পোস্ট করা শুরু হয়েছে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমে।
এই প্রচারের মাধ্যমে পর্যটকদের তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, এভাবে একটি করে তালা লাগানোর ফলাফলটা কতটা ভয়াবহ। এর পেছনে একটি সার্বিয়ান কাহিনি আছে। এক নববধূ তাঁর বিয়ের দিন এক ব্রিজে গিয়ে তালা লাগিয়ে দেন। কেননা বিয়ের আগে ঐ ব্রিজের ওপরই প্রেমিকের সাথে প্রতিদিন দেখা করতেন তিনি। এরপর থেকে এর প্রচলন শুরু হয়। যদিও ইটালির লেখক ফেডেরিকো মচা এই প্রচলন তাঁর লেখা উপন্যাস থেকে হয়েছে বলে দাবি করেছেন। বইটির নাম ‘আই ওয়ান্ট ইউ'। সেখানে এমন একটি দৃশ্য আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Paris plea to lovers: say it with a selfie, not 'love locks' http://t.co/4X5eK3X1Az #lovewithoutlocks pic.twitter.com/RGk3n8HhSF
— Agence France-Presse (@AFP) August 11, 2014
প্যারিসে অবশ্য সেই ২০০৮ সাল থেকে ব্রিজে যুগলদের তালা লাগানোর এই হুজুগ শুরু হয়। এরপর থেকে পুরো বিশ্বের সব ব্রিজেই এখন দেখা মেলে এ ধরনের তালার। পরিবেশবিদরা অবশ্য মূলত শঙ্কিত তালা লাগিয়ে যে চাবিগুলো নদীতে ছোড়া হচ্ছে, তা নিয়ে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।