নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর আগুন লেগে আটজন নিহত ও প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছেন।

 

আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শিবপুর উপজেলার কারারচর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

নিহতদের মধ্যে তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহনাজ (২৬), নরসিংদীর চরমধুয়া গ্রামের চান মিয়া (৪৫) ও নূরজাহান বেগম (৪০)। তাৎক্ষণিকভাবে অপর নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

 

তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

এদিকে, দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ন দূর পাল্লার বাস যাত্রীরা। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সন্ধ্যা ছয়টায় দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি উদ্ধার করে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিলেট থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-১১৫০) ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদীগামী মেঘালয় পরিবহনের অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখে সংঘর্ষ ঘটে। এতে একটি বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে দুটি বাসেই আগুন লেগে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই অগ্নিদদ্ধ হয়ে তিনজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আরো ৪ জন বাসযাত্রী নিহত হন। 

 

আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে একজন মারা যান। 

 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান নরসিংদীর একশ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে যান।