- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
নারায়াণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় অবসরে পাঠানো র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মুহিদ উদ্দীন এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ডিউটি অফিসার মামুনুর রশীদ গ্রেপ্তারের বিষয়টিনিশ্চিত করেছেন।
তবে এ ঘটনায় অবসরে পাঠানো নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷
শনিবার ভোর রাত সোয়া তিনটায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, রাত ২টা ৩৩ মিনিটে সেনানিবাসের জিয়া কলোনীর গেইট দিয়ে মিলিটারি পুলিশের কাছে যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ক্যান্টনমেন্ট থানায় যান। এরপর রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছে মিলিটারি পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে।
ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও মিলিটারি পুলিশের যৌথ দল সাবেক এ দুজন সেনা কর্মকর্তার বাসায় যান এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করেন৷আজ ভোর চারটার দিকে পুলিশ তাঁদের নিয়ে জিয়া কলোনীর গেইট দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ত্যাগ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন।
তাদের উদ্ধারের জন্য অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। সরকারও তাদের দ্রুত উদ্ধারের আশ্বাস দেয়। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃত ৭ জনের লাশ পাওয়া যায় ৷ এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনার পর নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন র্যাব ১১-এর অধিনায়ক কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার মাসুদ রানা ছয় কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ওই সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। এ অভিযোগের পর কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে র্যাব-১১ থেকে প্রত্যাহার করে সেনাবাহিনী থেকে অবসর দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেয় হাইকোর্ট। অপর এক আদেশে হাইকোর্ট র্যাবের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর র্যাবের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাবে জানায়, র্যাবের ওই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে বাধা নেই।
এদিকে সেনা সদর সাবেক দুই কর্মকর্তা কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বললেও নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মাসুদ রানার ব্যাপারে নৌ সদর দফতর এখনো কিছুই জানায়নি বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত র্যাবের দুই কর্মকর্তাকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। তাদের নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হবে।
তবে শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় কখন নেওয়া হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মুহিদ উদ্দীন বলেন, চাকরিচ্যুত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এমএম রানাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।