লঞ্চডুবিতে ২৬ লাশ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে যাদের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেছে।
উদ্ধার হওয়া এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। এখনো দুই শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন। তবে উদ্ধারে ধীর গতির অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় ঝড়ের কবলে পড়ে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি মিরাজ-৪ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে ৫০ জনের মতো যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাসছুদ্দোহা খন্দকার জানান, ৫০ জনের মতো যাত্রী নানাভাবে রক্ষা পেয়েছেন। অন্যরা নিখোঁজ।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। স্বজনদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি লাশ নদীর তীরে রাখা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার ও সরকার থেকে আরও ৫০ হাজারসহ মোট ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও দুর্বার ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
লাশ উদ্ধারেও কাজ করে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৫ জন ডুবুরি। স্থানীয় লোকজনও উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।