খাগড়াছড়ি ৬ উপজেলায় ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠতব্য ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফায় খাগড়াছড়ি জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ভোটার বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে।
এদিকে খাগড়াছড়িতে ৬ উপজেলার মোট ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। তার মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ৩৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবক’টি, মহালছড়ি উপজেলার ১৭টির ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবক’টি ও পানছড়ি উপজেলার ২৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবক’টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি, রামগড় উপজেলার ২১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি ও মানিকছড়ি উপজেলার ১৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ৬ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৯ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৯ জন। ৬ উপজেলার ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ৯০৪টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির ৬ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন প্রার্থী বিজয়ের লক্ষ্যে লড়ছেন।
প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ, জেএসএস সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। নির্বাচনে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীও। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলায় জামায়াতের সমর্থন নিয়ে লড়ছেন ৪ প্রার্থী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।