এসো হে আমার বসন্ত এসো
পলাশ-শিমুলের ডালে আগুনরাঙা ফুল নিয়ে প্রকৃতি জানান দিয়েছে, ঋতুরাজ বসন্ত আসছে। কি মনে, কি বনে সর্বত্র নতুনের জয়গান। প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বিবর্ণ প্রকৃতি, জেগে উঠছে রূপ-লাবণ্যে। কবি সুভাস মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।’
আজ বৃহস্পতিবার। পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার দিন। বিশ্ব কবির ভাষায়, ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা/ এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো...।’
বসন্ত জাগিয়ে তোলে ভালোবাসার বোধ, দেয় মিলনের বার্তা। এমন লগ্নে প্রিয়জনের কাছে দেহ মন সঁপে দিতে ইচ্ছা জাগে।
কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী আব্বাস উদ্দীনের আবেগী কণ্ঠের ভাষায়, ‘সুখ বসন্ত দিল রে দেখা, আর তো যৈবন যায় না রাখা গো...।’ বসন্ত বাতাস ভাটি বাংলার বাউল আবদুল করিমকেও জাগিয়ে তোলে। উতলা বাউল তাই গেয়ে ওঠেন, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো/ বসন্ত বাতাসে/ বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে...।’ এভাবে বসন্ত এলে মন আনচান করে। পুরনো বেদনা, হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ভালোবেসে আবার তার পেছনে ছুটতে ইচ্ছা করে।
ফাগুনের প্রথম দিনে বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে পথে নামে তন্বী-তরুণীরা। নতুন ফুলে খোঁপা সাজায়। অসংখ্য রমণীর বাসন্তী রঙে রঙিন হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ, পার্ক, একুশের বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশোভিত সবুজ চত্বরসহ পুরো রাজধানী। তরুণরাও আজ পরবে বাসন্তী রঙের পোশাক। প্রকৃতির ছোঁয়া নিতে তারাও বেরিয়ে পড়বে। অসাম্প্রদায়িক উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়বে সারা শহরে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।