- হোম
- >
- উপ-সম্পাদকীয়
- >
- আমাদের মুক্তি সংগ্রাম
আমাদের মুক্তি সংগ্রাম
সংগ্রাম। সেটা মুক্তির। তাও আবার বাঙালির মুক্তি। ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে মনে হয়। যখন নানা মনিষী নানারকম কথা বলেন। আমরা সাধারণ মানুষেরা বেতাল হয়ে যাই। তাছাড়া বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের শুরুটা কবে থেকে, সেটা নিয়েও রয়েছে নানারকম কেচ্ছাকাহিনি। আমরা, বিভ্রান্তিকর ইতিহাস জানা মানুষেরা, আম-বাঙালিরা, আর বুঝতেই পারি না, আসলে মুক্তি ব্যাপারটি কী? মনিষীরা বলবেন না। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রনায়ক যারা আছেন, আসবেন, তারাও জানাবেন না। তাই আমাদের ইতিহাস, সাধারণের ইতিহাস, সাধারণকেই রচনা করতে হবে। সেই সাধারণের অংশ হিসেবে আজকে আমার এই আলোচনা। প্রিয় পাঠক, আমি কোনো ইতিহাসবেত্তা নই। আর আমি তোমাদের ইতিহাস জানাতেও আসিনি এখানে। আমি আমার নিজের প্রয়োজনে, আমার ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রয়োজনে, এই আলোচনার শুরু করতে চাই। অন্তরে বিশ্বাস, এরপর অন্য কেউ নিশ্চয়ই এই আলোচনা টেনে নিয়ে যাবে। হয়তো কেউ একজন আলোচনার টেবিল থেকে উঠে গিয়ে আসল কাজটি করতে শুরু করবে। সেদিন থেকে শুরু হবে বাঙালির সুখের দিন।
১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধের বছর। নয় মাস ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। এরপর পাকিস্তানিদের কাছ থেকে স্বাধিনতা ছিনিয়ে নিই আমরা। কিন্তু আমরা যারা একাত্তর পরবর্তী প্রজন্ম, আমাদের এই ইতিহাসটাও সঠিকভাবে জানতে দেয়া হয়নি। মূল ঘটনার সাথে প্রচুর মিথ্যা ঢোকানো হয়েছে। অনেক ঘটনা মুছে ফেলা হয়েছে। একেকজন একেকরকমভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে। ফলে আমরা, একাত্তর পরবর্তী প্রজন্ম, একটি বিভ্রান্ত প্রজন্মে পরিণত হয়েছি। আপন ইতিহাস সঠিকভাবে না জানার ফলে, দেশপ্রেম, তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলছে। প্রিয় পাঠক, আমাদের আলোচনার বিষয় মুক্তির সংগ্রাম। এখন সেদিকেই দৃষ্টি দেয়া যাক।
একাত্তরের সাতই মার্চ, বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তিনি লড়তে বলেছিলেন। তিনি সংগ্রাম শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন। স্বাধীনতা ও মুক্তি শব্দ দুটি আসলেই এক অথবা ভিন্ন অর্থ বহন করে কিনা, আমি জানি না। জানি না, যুদ্ধ ও সংগ্রাম শব্দদুটিও এক অথবা ভিন্ন অর্থ বহন করে কিনা। কিন্তু বিশ্বাস করি, যুদ্ধ ও সংগ্রাম শব্দযুগল ও স্বাধীনতা ও মুক্তি শব্দযুগল, পরষ্পরের মাঝে একটা সুক্ষ্ম পার্থক্য বজায় রেখেছে। তাইতো বঙ্গবন্ধু সেদিন, মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার সংগ্রাম -দুটোই উচ্চারণ করেছিলেন। এই শব্দগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক পার্থক্য যে বিদ্যমান, এই বিশ্বাস ধ্রুব হয়ে ওঠে, যখন দেখি আমাদের রাজনীতিবিদরা শব্দগুলোর প্রয়োগ করছেন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। কেউ মুক্তিযুদ্ধ কেটে বসাচ্ছেন স্বাধীনতাযুদ্ধ। মুক্তি সংগ্রাম ব্যবহার না করে শুধুই মুক্তিযুদ্ধ ব্যবহার করা হচ্ছে। তখন আমার বিশ্বাস দৃঢ় হয়ে ওঠে। তাই ভাবতে থাকি সঠিক শব্দ প্রয়োগ নিয়ে। মুক্তি সংগ্রাম শব্দযুগল আমার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। পাঠক, বিরক্ত হয়ো না। আলোচনার সূত্রপাত যেহেতু, একটু বেরসিক তো হতেই হয়।
যুদ্ধ শব্দটি একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। যুদ্ধ বলতে একাধিক পক্ষের মধ্যে সুসংগঠিত এবং কখনো কখনো দীর্ঘস্থায়ী সশস্ত্র সংঘর্ষকে বোঝায়। এবং যুদ্ধকে সবসময় রাজনীতিক পক্ষগুলোর মধ্যে একটি বাস্তব, প্রায়োগিক ও বিস্তৃত সশস্ত্র সংঘর্ষ হিসেবে দেখা হয়। চারিত্রিক দিক দিয়ে এটি প্রচণ্ড সহিংস এবং সামাজিক ও আর্থনীতিক বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। যুদ্ধে একপক্ষ অন্য পক্ষকে হত্যা করতে উদ্যত থাকে। যেখানে হিংসা, দ্বেষ, চীৎকার, আর্তনাদ আর মৃত্যুর বিভীষিকা থাকে। যেখানে রক্ত প্রবাহিত হয়, আগুন প্রজ্জ্বলিত থাকে, ধ্বংসের দামামা বাজে। যুদ্ধ শব্দটির সাথে লাশের গন্ধ মাখা থাকে, থাকে অজস্র কান্না। যুদ্ধ হলো সাময়িক উন্মাদনা। এক পক্ষের ধ্বংস অপর পক্ষের বিজয় নিশ্চিত করে। বিজয়ের পর বিজয়ী পক্ষও আপনজন হারানোর বেদনায় বিমর্ষ হয়ে পড়ে। ফলে বিজয়ের উল্লাস, আর উচ্ছ্বাস হয়ে ওঠে না। যুদ্ধ, তার ধ্বংসক্ষমতা দিয়ে ইতিহাসে নিজের জায়গা করে নেয়।
সংগ্রাম শব্দটির ভেতর আমরা আবেগকে খুঁজে পাই। এই শব্দটির সাথে পরিবর্তন জড়িয়ে থাকে। সংগ্রামের ফলে চলমান একটি অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে নতুন একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়। সংগ্রামকে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া বলতে পারি। যুদ্ধ, এই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ হতে পারে। কারণ, যুদ্ধ সংগঠিত করবার পূর্বের যে প্রক্রিয়া, যুদ্ধ শেষে পুণরায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার যে প্রক্রিয়া, সবকিছু এই সংগ্রামেরই অংশ। তাই যুদ্ধকে যদি সংগ্রামের প্রবল, প্রচণ্ডরূপ বলে আখ্যায়িত করি, তা মনে হয় ভুল হবে না। আমার ধারণায়, সংগ্রাম হলো মানুষের নিরন্তর প্রচেষ্টার একটি নাম।
সেদিন বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন। আজ আমরা অনেকেই বঙ্গবন্ধুর কথা বলি। তাঁর অনেক গুণগান করি। কিন্তু তাঁর উচ্চারিত শব্দ নিয়ে আমরা কেউ ভাবি বলে মনে হয় না। আমি এই ব্যাপারটি নিয়েই আলোচনা করতে চাই। আলোচনা মানে আলোচনার সূত্রপাত মাত্র। পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করার মতো ক্ষমতা ও যোগ্যতা আমার নেই।
১৯৭১ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু মুক্তি সংগ্রামের ডাক দিলেন। তাঁর এই আহ্বানেই বোঝা যায়, আমরা মুক্ত ছিলাম না। কতদিন ধরে আমরা মুক্ত ছিলাম না? বর্তমানের বাংলাদেশে ইতিহাস রচিত হয় দলীয় বিবেচনায়। আর সকল রাজনীতিক দলই নিজের জন্ম বা কর্ম ইতিহাস ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণ করে আসছে। বিএনপি, ১৯৭১ এর ২৭ মার্চের ওপাশে আর যেতে চায় না। কারণ, জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ রেডিওতে যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন। আর এজন্যই বিএনপির’র কাছে ২৫ ও ২৬ মার্চ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে ’৭০-এর নির্বাচন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সব। আওয়ামী লীগ ষাটের দশকের ওপারে সহজে যেতে চায় না। কারণ, ওদিকে বঙ্গবন্ধু তখনো অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেননি। তাঁর মাথার ওপরে তখনো হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আর মওলানা ভাসানী বর্তমান। জামাত তো পারলে ১৯৭১-কে অস্বীকারই করে। ওদের জন্য এই সালটি একটি ভয়াবহ স্মৃতি। যার খেসারত এখনো দিচ্ছে দলটি। আসলেই কি দিচ্ছে? প্রিয় পাঠক, তুমি নিজেই বিবেচনা করো। এই ভার তোমার।
বাংলাদেশের বহুধা বিভক্ত কমিউনিস্ট দলগুলো নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করতেই ব্যস্ত। তাদের সময় কোথায় ইতিহাস নিয়ে, পরবর্তী প্রজন্ম আর বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামাবার? শাহবাগে গড়ে ওঠা রাজাকারবিরোধী আন্দোলনে একটি স্লোগান ছিলো এরকম, ‘আমার দেশ, আমার মা। রাজাকারের হবে না’। হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক, আমার দেশ তো আমার মা, আমার প্রিয়া। তাই এর ভবিষ্যত চিন্তা তো তোমাকে, আমাকেই করতে হবে। তাই আমাদের ভ্রষ্ট রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে, এসো, আমরাই আমাদের ইতিহাস রচনা করি।
এই যে মুক্তির সংগ্রাম। এই সংগ্রামের সূচনা, আমার ধারণায়, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন; এবং যা অদ্যাবধি চলছে। সেদিন পলাশির রণক্ষেত্রে নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র পরাজয়ের পরপরই শুরু বাঙালির পরাধীনতা। যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চলছে আজও। সেদিন বাংলা জয় করে, ইংরেজরা পরবর্তী ১৯০ বছরে গোটা ভারতবর্ষের দখল নিয়ে নেয়, এখানে জাতিগত বিদ্বেষ তৈরি করে তার স্থায়ী রূপ দেয়, এবং আজীবন শোষণ করার মানসে ভারতবর্ষের সর্বস্তরে নিজেদের তৈরি করা সমাজ, শিক্ষা ও রাষ্ট্রীয়পদ্ধতি স্থাপন করে। বৃটিশদের স্থাপিত পদ্ধতির কারনে এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপদ্ধতির কল্যাণে আমরা নিজেদের চিনতে পারছি না। আমরা নিজেদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। যদিও ঐত্যিহ্যের নাম করে কিছু করছি, কিন্তু গূঢ়ভাবে দেখলে বোঝা যায়, এটা আমার ঐতিহ্যের অংশ ছিলো না। বৃটিশরা ১৯০ বছরে তাদের প্রাথমিক কাজ শেষ করে ভারতবর্ষকে টুকরো করে তথাকথিত স্বাধীনতা দিয়ে যায়। পাঠক, ভারতবর্ষ টুকরো হলো কিনা সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নয়, আমার মাথাব্যথা হলো ওরা বাংলাকে, আমার মাতৃভূমিকে টুকরো করে দিল। এরফলে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সব খণ্ডিত হয়ে গেল। গর্বিত একটি জাতি পরিণত হলো একটি অসহায়, দুর্মুর্খ জাতিতে।
বৃটিশ শোষণামলের একশত নব্বই বছরের যে সংগ্রাম, সেটা আমাদের মুক্তি সংগ্রামেরই অংশ। ভারত ভাগের পর পাকিস্তান রাষ্ট্রে ভাষার জন্য বাঙালির যে সংগ্রাম, সেটাও আমাদের মুক্তি সংগ্রামের অংশ। মওলানা ভাসানীর কাগমারি সম্মেলন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামেরই অংশ। এরপর ধীরে ধীরে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, অসহযোগ আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা’র আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়, এবং চুড়ান্তভাবে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ -সব, সবকিছু মিলিয়েই বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস। আর এই ইতিহাসের মহানায়কদের অনেককেই আমরা দায়সারাভাবে মনে রেখেছি। অনেককে ভুলে গেছি। সিরাজের সেনানায়ক মোহন লাল থেকে শুরু করে নেতাজী সুভাষ বসু, ক্ষুদিরাম, মাস্টারদা সূর্যসেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, ইলা মিত্র, রফিক, জব্বার, সালাম হয়ে ’৭১-এর বীরসেনানিরা, জাতীয় চার নেতা সহ বঙ্গবন্ধু, সকলেই আমাদের দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক। আমরা এঁদের সকলকে স্মরণ করি না কেন? পাঠক, বলতে পারো, কেন আমরা আমরা আমাদের মহানায়কদের সম্মান করি না?
আমরা আমাদের ইতিহাসের সকল মহানায়কদের সম্মান করি না, স্মরণ করি না। কারন, আমার মনে হয়, ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের পর আমরা আমাদের মুক্তি সংগ্রামের হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। বেশ আন্তরিকভাবেই। ফলে কী হলো? নিজেরা কাটাকাটি, মারামারি করে চলেছি চার দশক ধরে। গত চার দশকে আমাদের রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ইতিহাস হলো হিংসা, খুন, শোষণ আর চরম বিশৃঙ্খলার ইতিহাস। এর ভেতরেও কি আমাদের মুক্তি সংগ্রাম সচল থাকেনি? পাঠক, এর উত্তরে আমি বলবো থেকেছে। কিন্তু তা কখনোই পূর্ণাঙ্গরূপে সফলতার মুখ দেখেনি। দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের যে চুড়ান্তরূপ দেখা দিয়েছিলো ১৯৭১-এ। যে বিজয়ের পর আমাদের মুক্তি সংগ্রাম তার চরম সফলতার মুখ দেখতে পারতো। আমাদেরই ভুলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আমাদের শাসনতান্ত্রিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে সত্য। কিন্তু মুক্তি এনে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু যদি সত্যিই বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে থাকেন, তবে তাঁর নির্দেশ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ পালন করার সময় পেরিয়ে যায়নি এখনো। বাঙালি এটা বোঝে। আর বোঝে বলেই বারবার আন্দোলন, সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কখনো তা হয়ে ওঠে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, কখনো অসহযোগ আন্দোলন, আর কখনো বা শাহবাগ আন্দোলন। এতোসব আন্দোলন করেও মুক্ত না হতে পারার কারন হিসেবে আমার মনে হয়, যোগ্য নেতার আকাল। তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী’র মতো যোগ্য সহচর পরিবেষ্টিত বঙ্গবন্ধুর মতো একজন যোগ্য নেতা চাই আমাদের । পাঠক, এই নেতা বাইরে থেকে আসবে না। আমাদের নেতা আমাদের মাঝ থেকেই উঠে আসবে। আমরাই ঠিক করবো আমাদের যোগ্য নেতাকে। প্রয়োজন শুধু মুক্তির আকণ্ঠ পিপাসাটা সঠিকভাবে অনুধাবন করা। পাঠক, তোমার ভেতরে চেপে থাকা মুক্তির তৃষ্ণাকে জাগিয়ে তোলো। দেখবে, এসেছেন আমাদের যোগ্য নেতা। যার প্রতীক্ষায় রয়েছি আমরা কোটি বাঙালি। যার প্রতীক্ষায় ক্ষণ গুনছে মাতৃভূমি বাংলা।
পাঠক, পরিশেষে আমার হাজার বছর প্রাচীন ঐতিহ্যের দিকে তাকিয়ে শুধু এটুকুই বলবো, আমাদের শতবছরের মুক্তি সংগ্রাম একদিন সফল হবেই। আমরা অবশ্যই দেখা পাবো আমাদের যোগ্য নেতার। নেতা আসবে। আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে দিগন্তরেখায়, যেখানে মুক্তির সূর্য প্রতীক্ষা করছে আমাদের জন্য। আমিও প্রতীক্ষায় রইলাম সেই দিনের।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।