বাংলাদেশ ক্রিকেটে ধূমকেতুর মতোই তার আবির্ভাব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পর এবার ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ‍টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন তিনি। 

এরই মধ্যে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে পাঁচ ম্যাচে সাত উইকেট নিয়ে নিজেকে আরো এক স্তর উপরে নিয়ে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দেশে বসে মুস্তাফিজের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সে মুগ্ধ খোদ বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। 

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘প্রতিভাবান’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় মোহাম্মাদ আশারাফুলের ক্ষেত্রে। আশরাফুলের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে যেমন কারও প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই, তেমনি বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার মত প্রতিভাধর ক্রিকেটার খুজে পাওয়াও দুষ্কর।

অনেকে বলতে পারেন, তাহলে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা কি হেলাফেলার পাত্র? অবশ্যই না, সাকিবরা যতটুকু না প্রতিভা তারচেয়ে বেশি কঠোর পরিশ্রমের ফসল।

প্রতিভার কথা উঠলেই বর্তমান বাংলাদেশে উচ্চারিত হয় বাঁহাতি মিস্ট্রি পেসার ‘মুস্তাফিজুর রহমান’ নামটি। এক বছর আগে মুস্তাফিজের অভিষেকের পর থেকেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে আসছে এই তরুণ।

তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে, কে বাংলাদেশের সেরা প্রতিভা? বাংলাদেশ দলের কাপ্তান মাশরাফি বিন মুর্তজার চেয়ে ভালো উত্তর হয়তো কেউ দিতে পারবে না।

আশরাফুলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব কাছে থেকে দেখেছেন তিনি। মুস্তাফিজের শুরুটাও মাশরাফির চোখের সামনে। তাই খোদ মাশরাফির চোখে,

বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা প্রতিভা আশরাফুল নয়, মুস্তাফিজ।

গণমাধ্যমকে মাশরাফি বললেন, ‘আশরাফুলের চেয়েও বড় প্রতিভা মুস্তাফিজ। আমার মনে হয় না এমন কাউকে দেখেছি আগে। ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা যাকে বলে।’

এই তরুণ প্রতিভার প্রশংসা করে তিনি আরও বললেন, ‘মুস্তাফিজ অনেক স্মার্ট, জানে কিভাবে নিজেকে পরিচর্যা করতে হয়। জাতীয় দলে তো কম দিন হয় না খেলছি। কিন্তু ওর মতো নিজের ব্যাপারে এত সচেতন কাউকে দেখিনি।’