‘মার্কিন আদালত জয়কে অপহরণের অভিযোগ গ্রহণ করেনি’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের কোনো অভিযোগ মার্কিন আদালত গ্রহণ করেনি। শুধু একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আদালতে জমা দেওয়া মার্কিন সরকারের রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ কিংবা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও শুধু শফিক রেহমানের ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের উপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশ এফআইআর হলো, গোপনে তদন্ত হলো, মামলা হলো এবং গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হলো।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া সরকারের লিখিত রিপোর্ট, অভিযুক্ত কিংবা সাক্ষীদের কোন জবানবন্দি, মামলার রায় এমনকি ঢাকার রমনা থানায় দায়েরকরা এফআইআর কিংবা পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান, কারাবন্দি সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কিংবা বিএনপির কোন নেতার নামই উল্লেখ নেই। অথচ শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। মাহমুদুর রহমানকে ঐ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো এবং একই কাল্পনিক অভিযোগে দেশে-বিদেশে অবস্থান করা বিএনপির উর্ধ্বতন নেতা সম্পর্কে অভিযোগ এনে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমেরিকান নাগরিক রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে আমেরিকান আদালতে যে মামলা হয়েছিলো, তাতে ২০১১ সালে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে একজন এফবিআই এজেন্টকে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে এক হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন এবং কিছু নথি পেয়েছিলেন। তার অপরাধ ছিলো, সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়া। আর এফবিআই কর্মকর্তার অপরাধ ছিল ঘুষ নেওয়া ও বিনা অনুমতিতে সরকারি দলিল কোন ব্যক্তি বিশেষকে হস্তান্তর করা। এই মামলা চলাকালে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিলো তাতে ৯ মার্চ ২০১৩ তারিখে জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রেক্ষিতে সিজারের দুইটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়। একটি হলো সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবনযাপন ও দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া এবং অন্যটি তাকে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা।
তিনি বলেন, বিচার চলাকালে সজীব ওয়াজেদ জয়ও নিজেকে ভিকটিম দাবি করে মামলার আসামি সিজার তাকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ করেন। কিন্তু জয়কে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগের পক্ষে কোন প্রমাণযোগ্য ও যুক্তিসঙ্গত উপাত্ত না পেয়ে বিচারক মামলায় অভিযুক্ত সিজারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেন এবং জয়কে ভিকটিম মানতে রাজি হননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।