চকরিয়ায় ১২ ইউপি নির্বাচন ২৩ এপ্রিল
২৩ এপ্রিল (শনিবার) ততৃীয় ধাপে অনুষ্টিত হতে যাওয়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১২ ইউপি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একজন জুড়িসিয়াল ও ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের তত্তাবাধানে উপজেলার ১১১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৩ হাজার সদস্য। অপরদিকে, ভোট কেন্দ্র গুলোতে ৬জন রির্টানিং কর্মকর্তার তত্তাবধানে ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন ১১০ জন প্রিসাডিং কর্মকর্তা, ৪২৩জন সহকারি প্রিসাডিং কর্মকর্তা ও ৮৪৬ জন পোলিং কর্মকর্তা।
চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ কামরুল আজম বলেন, ১২ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার তত্তবাধানে থাকবে পাঁচজন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য। এরমধ্যে থাকবে চারজন সশস্ত্র আনসার। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় টহলে থাকবে ১৪০ সদস্যের ৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র্যাপিট এ্যাকশন ব্যটলিয়ানের(র্যাব) ৪৫ জনের চারটি টিম কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রগুলোর আশপাশ এলাকায় অবস্থান করবে পুলিশের ১২টি স্টাইকিং ফোর্স ও ৩৬টি মোবাইল টিম। একজন পুলিশ পরির্দশকের তত্তাবধানে প্রতিটি স্টাইকিং ফোর্সে থাকবে ৫ জন করে সদস্য। অপরদিকে প্রতিটি মোবাইল টিমে একজন উপ-পরিদর্শকের(এসআই) নেতৃত্বে থাকবে ৬জন করে পুলিশ সদস্য। তাদের পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমন্বয়ে থাকবে ৬ জন সহকারি পুলিশ সুপারের তত্তাবধানে ছয়টি বিশেষ টিম। প্রত্যেক টিমে একজন সহকারি পুলিশ সুপারদের সাথে থাকবে পুলিশের পাঁচজন করে সদস্য।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ১১১টি ভোট কেন্দ্র গুলোতে ৬ জন রির্টানিং কর্মকর্তার তত্তাবধানে এদিন ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ১১০ জন প্রিসাডিং কর্মকর্তা, ৪২৩ জন সহকারি প্রিসাডিং কর্মকর্তা ও ৮৪৬ জন পোলিং কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে এসব কর্মকর্তাদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার চিরিঙ্গা, বরইতলী, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, বমুবিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, সাহারবিল, হারবাং ও বরইতলী ইউনিয়নের মধ্যে ৭০টি ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। তার মধ্যে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ১০টি ও বরইতলী ইউনিয়নের ৯টিসহ উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২, ৪, ৭ ও ৮ নং কেন্দ্র, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ১,২, ৭, ৮ ও ৯ নং কেন্দ্র, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ১নং কেন্দ্র, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ২, ৩, ৭, ৮, ৯ নং কেন্দ্র, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১,২ ও ৮ নং কেন্দ্র, সাহারবিল ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং কেন্দ্র, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে ১, ২, ৩, ৮ নং কেন্দ্র, খুটাখালী ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫, ৮ নং কেন্দ্র, কাকারা ইউনিয়নের ২নং কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।
জানা যায়, ১২ ইউনিয়নের ১১১টি কেন্দ্রে এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪১ জন ভোটার। এর মধ্যে ৭৮ হাজার ৯৯৫জন পুরুষ ও ৭৪ হাজার ৮৪৬জন নারী ভোটার। তারমধ্যে ৭৮ হাজার ৯৯৫জন পুরুষ ও ৭৪ হাজার ৮৪৬ জন নারী ভোটার। উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ ও ১১ হাজার ৩৫৪ জন নারী ভোটার। কাকারা ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৬ হাজার ৮৮১ জন পুরুষ ও ৬ হাজার ৪০৫ জন নারী ভোটার। বরইতলী ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৬৫১ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ৮৩৬জন নারী ভোটার ভোট দেবেন। কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৬ হাজার ২৬২ জন পুরুষ ও ৫ হাজার ৯২১জন নারী ভোটার। হার বাং ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৯ হাজার ৩৬১ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ১৮৭ জন নারী ভোটার। খুটাখালী ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৯ হাজার ৫৪৫ জন পুরুষ ও ৮ হাজার ৮৬৯ জন নারী ভোটার। সাহারবিল ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৩ হাজার ৯৪৮জন পুরুষ ও ৩হাজার ৩৯০ জন নারী ভোটার। চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৪ হাজার ৭৪৬ জন পুরুষ ও ৪ হাজার ২৬৯ জন নারী ভোটার। ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৭ হাজার ৪৫৩ জন পুরুষ ও ৬ হাজার ৯০৯ জন নারী ভোটার। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৩ হাজার ৮৫২ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার। বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ২ হাজার ২৪৫ জন পুরুষ ও ২ হাজার ৪৪৩ জন নারী ভোটার এবং লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ২ হাজার ৭৪৯ জন পুরুষ ও ২ হাজার ৫৪২ জন নারী ভোটার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।