৬৫০ নারীর সাথে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের শারীরিক সম্পর্ক!
‘টিনো বেস্ট’ নামটা কি খুব বেশি অপরিচিত মনে হচ্ছে? বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর যারা বেশ ভাল ভাবে রাখেন তাদের কাছে অন্তত অপরিচিত লাগার কথা নয়।
কারণ, নিজের ক্যারিয়ারের ২৫ টেস্টের মধ্যে ছয়টাই তিনি খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। টেস্টে মোট ৫৭ টি উইকেটের মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষেই নিয়েছেন ১৭ টি। ক্যারিয়ারে দু’বার এক ইনিংসে নিয়েছেন ছয় উইকেট। দু’টোই বাংলাদেশের বিপক্ষে।
কিন্তু, বছর দুয়েক আগে শেষ জাতীয় দলের জার্সি পড়া এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারকে নিয়ে হঠাৎ করে এখন আলোচনার কারণ কি? – কারণ হল, প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে তার আত্মজীবনী ‘মাইন্ড মাই উইনডোজ’।
আর সেখানে স্রেফ বোমাই ফাঁটিয়েছেন উইন্ডিজ এই পেসার। নিজেকে ‘প্লে-বয়’ দাবী করে তিনি জানান, জীবনে সাড়ে ছয়’শ নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক ছিল তার।
নিজের এই আমুদে জীবনযাত্রা নিয়ে তিনি যে গর্বিত, সেটাও গোপন করেননি বেস্ট। ২৮ এপ্রিল বাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা বইয়ের লেখায় সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
কিভাবে একাধিক নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন, জানিয়েছেন বেস্ট। আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নারী ভালবাসি, এবং নারীরা আমাকে ভালবাসে। আমি নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গদের ব্র্যাড পিট মনে করি। ক্রিকেটার হিসাবে যেখানেই যেতাম, আমি নারীদের সাথে আলাপ করতাম, তাদের ডেট করতাম এবং সেই নারীদের সাথে রাত কাটিয়ে ফেলতাম।’
প্রথম প্রেমিকার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া যে তার একের পর এক শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ, সেটাও স্বীকার করেছেন বেস্ট। লিখেছেন, ‘আমার প্রথম প্রেমিকা মেলিসার সাথে আমার সন্তান তামানি। কিন্তু, আমাদের সম্পর্ক টেকেনি। বন্ধুরা আমাকে বলেছিল, বার্বেডোজের হয়ে আমি উইকেট নিলেই ও ফিরে আসবে। মাঠে বল হাতে আমি ঠিক সেটাই করেছিলাম। ও ফিরে আসেনি। তারপর আমি প্লে-বয় হয়ে যাই।’
তার আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এগারো সপ্তাহ অস্ট্রেলিয়া সফরে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেই এগারো সপ্তাহে চল্লিশেরও বেশি নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
বেস্ট মজা করে লিখেছেন, ‘সেই সফরে একটাও টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। কোচ বেনেট কিং আমাকে নিয়ে হয়তো ভাল কিছুর আশাই করতেন না। তবে, রাতে আমি জোরে বোলিং করতাম। পার্টি করতে যেতাম, তারপর কোনও না কোনও মেয়েকে সাথে নিয়ে হোটেল রুমে ফিরতাম।’
এক রাতে নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথাও কোন ভনিতা ছাড়া বলে দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘মাঝে-মধ্যে চারজনকে হোটেলের ঘরে নিয়ে যেতাম। আমাকে সাহায্য করার জন্য কোনও একজন সতীর্থকে ডাকতে হতো। অনেকবার একসঙ্গে তিনজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছি।’
ক্রিস গেইলের ‘রঙিণ’ জীবনযাত্রার কথা নিজের বইয়ে উল্লেখ করেছেন বেস্ট। তবে রাতের অভিযানে ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গেই বেশি জমতো তার।
বেস্টের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রাতের খেলা’ তেও ব্রাভো একজন চ্যাম্পিয়ন!
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।