জিকা ভাইরাস: ঝুঁকিতে ২২০ কোটি মানুষ!
বিশ্বে ২শ’ কোটি মানুষ বসবাস করছে এমন এলাকায় জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইলাইফ জার্নালে এ বিষয়ে বিস্তারিত মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এডিশ মশাবাহিত এই ভাইরাইসের কারণে চলতি বছর বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এডিস এজিপটি মশার মাধ্যমে ছড়ায় জিকার ভাইরাসের জীবাণু। যা এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে হুমকির বিষয় ছিল। গত সপ্তাহে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন নিশ্চিত করেছে যে এই ভাইরাসের মাধ্যমে ত্রুটি নিয়ে জন্মায় শিশু।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কোন কোন জায়গায় মশা বাস করতে পারে এটা খুঁজে বের করার চাইতে জিকা আক্রান্ত হওয়ার স্থানগুলো চিহ্নিত করা অনেক কঠিন। গবেষকদের একজন ড. অলিভার ব্র্যাডি বিবিসিকে জানান, প্রথমবারের মতো তাঁরা এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মানচিত্র তৈরি করেছেন।
কোন ধরনের স্থানে জিকা ভাইরাস বিস্তার লাভ করতে পারে এবং কোন এলাকার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গবেষণার মাধ্যমে তাই দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা বলছেন, দক্ষিণ আমেরিকা এই মুহূর্তে জিকা আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সব মিলিয়ে ২২০ কোটি মানুষ আছেন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়। আমাজন নদী এবং আশপাশের এলাকাও রয়েছে ঝুঁকিতে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এবং টেক্সাসে আসছে গরমের মৌসুমে তাপমাত্রা বাড়ার সময়ও জিকা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জিকা ভাইরাসের কারণে হাজারো শিশু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাবে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
ড. ব্র্যাডি আরো বলেন, জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মশার কেবল একটি মাত্র শর্ত পূরণ প্রয়োজন। আর এটা হলো, মশার শরীরে পর্যাপ্ত উষ্ণতা পাওয়া। এরপর মানবদেহ ব্যবহার করে এটি সহজেই সংক্রমিত হয়। আফ্রিকা এবং এশিয়া অঞ্চলও জিকার সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।