আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার লক্ষ্যে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক। বাংলাদেশি রাখালরা ভারত থেকে গরু আনার সময় এগুলো আনছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে গরু ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে বিজিবির রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।

এ বিষয়ে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ ঠেকাতে বিজিবি টহল আরো জোরদার করেছে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, ২০১৫ সালে বিজিবি সদস্যরা ৩১টি পিস্তুল ১২২ রাউন্ড গুলি ও সোয়া আট কেজি গান পাউডার জব্দ করেছে। বর্তমানে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলমান আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতায় যে সমস্ত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো প্রতিবেশী দেশ থেকে আসছে এবং এগুলো বাংলাদেশি রাখাল সেজে ভারত থেকে নিয়ে আসছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে। তাই সম্প্রতি বিজিবি বাংলাদেশ থেকে ভারতে রাখাল যাওয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে।

কর্নেল জাকির হোসেন বলেন, আমাদের শুধু একটাই শর্ত বাংলাদেশ থেকে কোন রাখাল ভারতে প্রবেশ করবে না। যাতে এ সকল রাখালের সাথে কোন অপরাধী ভারত থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক নিয়ে আসতে না পারে।

বিজিবির শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার বাংলাদেশি রাখাল ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে বিপুল সংখ্যক রাখালের ভারতে অনুপ্রবেশ আমাদেরকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তাই আমরা সীমন্তে টহল জোরদার করেছি। যাতে এ সকল রাখাল ফেরত আসার সময় আমরা ব্যাপকভাবে তল্লাশি চালাতে পারি। এদের মধ্যে অনেকেই আবার মাদকব্যবসার সাথে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, আমার কখনোই চাই না আমাদের কোন বাংলাদেশি বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হউক। আমরা কখনোই গরু বা মহিষ আসার বিপক্ষে নই। ২০১৫ সালে ভারত থেকে এসেছে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫২৫টি গবাদি পশু। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের ৩ মাস ভারতীয় দুই লাখ সাড়ে ৭ হাজার গরু এসেছে। রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ কোটি সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে বিজিবির রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।