সম্পর্ক জোরদার করতেই সৌদি আরবে ওবামা
সম্পর্ক জোরদার করতেই সৌদি আরব পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বুধবার বিকেলে রাজধানী রিয়াদে পৌঁছে প্রথমেই সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা থেকে বন্ধুত্ব সম্পর্ক জোরদার করা, সন্ত্রাসের সাথে যুদ্ধে একাত্ব প্রকাশ করা। সৌদি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই সুসম্পর্কের মেয়াদ প্রায় ৮ যুগ। সেই সম্পর্ক যাতে চাঙ্গা থাকে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির নীতিমালা অক্ষুণ্ণ রেখে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা হয় এমন সব ইস্যুতে আলোচনা করবেন তারা।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমানের নেতৃবৃন্দের উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের শীর্ষ সম্মেলন জিসিসিতে যোগ দিবেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বতার সম্পর্ক জোরদার করতেই মূলত ওবামার এই সফর।
মার্কিনীদের সাথে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্কের গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৯৩৩ সালে । আধুনিক সৌদির জনক রাজা আব্দুল আজিজ এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজেভেল্ট ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাৎ করেছিলেন মার্কিন রণতরী ইউএসএস কুইঞ্চিতে। এরপরে অনেক চড়াই উতরাই গেলেও সম্পর্ক অটুট রয়েছে। রিয়াদ এবং ওয়াশিংটন মূলত জিসিসি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমন্বয় সাধনে একটা যৌথ ভূমিকা পালন করে।
প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ক্ষমতায় থাকাকালে সৌদি রাজা আবদুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন মোট তিন বার। জর্জ বুশও দুইবার সফর করেছেন সৌদি, যদিও দুটো সফরই ছিল চটজলদি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ওবামার আমন্ত্রণে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে এসেছেন রাজা সালমান, তখন থেকেই দুদেশের সম্পর্ক তুঙ্গে রয়েছে।
ইতিহাস থেকে দেখা যায়, অনেক আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের বাইরেও সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে টানা পোড়েন রয়েছে। বাইরে থেকে দেখা স্বাভাবিক দ্বিপার্শ্বিক সম্পর্কের বাইরেও ইরান পারমাণবিক চুক্তি, সিরিয়া গৃহযুদ্ধ ইত্যাদি ইস্যুতে তাদের দ্বিমত স্পষ্ট। তাছাড়া ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যহারের পরেও দুদেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠা বা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা উগ্র সন্ত্রাসবাদ রুখতে সৌদির সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা মার্কিনীদের জন্য যেমন দরকার তেমনি সৌদি আরবেরও প্রয়োজন বিশ্বের পরাক্রমশালী একটি দেশের সমর্থন। উপসাগরীয় ৬টি দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে ওবামার এই সফরের মূল আলোচনা হবে সন্ত্রাসবিরোধী পরিকল্পনা নিয়ে। ওবামার এবারের সফর সঙ্গী হয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন কার্টার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।