কৃষককে যথাযথ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু ঘরে বসে মজার মজার ফল, খাদ্য খেলেই হবে না। জানতে হবে কোন ফসল কী করে হয়, কেমন করে জন্মায়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এ বিষয়ে জানলেই আগামীতে আরও কৃষি উন্নতি সম্ভব। আমরা চাই কৃষককে যথাযথ সম্মান দিতে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই কৃষকের প্রতি সবার সম্মান জন্মাবে। তবে এখন দেখা যায় কৃষকের ছেলে পড়াশোনা শিখে কৃষক হতে চায় না, কোনো কোনো সময় তো বাবার পরিচয়ও দিতে চায় না সে ছেলে।
এটি যেন না হয়, সে জন্য কৃষকে তার যথাযথ সম্মান দিতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ কৃষি বিষয়ক সুপরিকল্পনা হাতে নেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন থেকেই আমরা সঠিক কৃষিবান্ধব ব্যবস্থা নিয়েছি। একটি বাড়ি একটি খামার করেছি আমরা। দীর্ঘ দিন গবেষণা করে এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার পাইলট প্রকল্প ছিল গাজীপুরের শ্রীপুরে। তবে ২০০১ সালে সবই ধ্বংস করে দেয় বিএনপি-জামায়াত।
কৃষি উন্নয়নে ও কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে তার সরকারের পদক্ষেপ গুলো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি, যা ২ কোটি কৃষক পাচ্ছেন। এছাড়া দেওয়া হচ্ছে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সুবিধা, যা ১ কোটি কৃষক পাচ্ছেন। আমরা দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা চালু করি- এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থান নিয়েছি এখন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ করবো আমরা। এ জন্য চাই কৃষির আরও উন্নতি সাধন। এছাড়া ২০২০ সালে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবো আশা করছি তার আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়ে যাবে।
তার আগে বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে জীবন্ত কিংবদন্তি উল্লেখ করে বলেন, তার হাতের ছোঁয়া পরশ পাথর। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সফল হয়েছেন, দেশের উন্নয়ন করেছেন। এদেশের মানুষ সারাজীবন তাকে কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ রাখবে। কৃষি উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬ সালের ‘কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচির কথা স্মরণ করে বলেন, তারই ফল হিসেবে ২০০০ সালে বাংলাদেশ একবার খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়।
‘কৃষি বিষয়ে যদি কোনো জরিপ হয় তাহলেও শেখ হাসিনা এক নম্বরে থাকবেন- কারণ শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থেই জনবান্ধব, বাংলার গরিব মানুষের মমতাময়ী মা,’ যোগ করেন মতিয়া চৌধুরী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।