যশোরের শার্শা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কামরুল নামে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও গুলি করা হয়। এসময় কামরুল ছাড়াও আরো দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

কামরুল জেলার খড়কি গ্রামের আজিজের ছেলে। তিনি শার্শার বাগআচড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থাকতেন।

সোমবার(১৯ এপ্রিল)রাত ২টায় উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। কামরুলকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আটক অপর দু’জন হলেন- শার্শার পাচকায়বা গ্রামের আসানুরের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তফা (৩০) ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবলুর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রহমান চঞ্চল (২৫)।

পুলিশ জানায়, শার্শার বাগুড়িয়া গ্রামের মোয়াজ্জেম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কয়েকজন সন্ত্রাসী জড়ো হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযানে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে কামরুল নামে ওই সন্ত্রাসী আহত হন। পরে বাকি সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও কামরুলসহ ওই তিনজন পুলিশের হাতে আটক হন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

শার্শা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, এই তিনজনের বিরুদ্ধে চোরাচালান, চাঁদাবাজিসহ একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীকে চিকিৎসা শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।