- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি ২৫ এপ্রিল
মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি ২৫ এপ্রিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার মামলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) ও দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদনের শুনানির দিন আগামী ২৫ এপ্রিল নির্ধারণ করলেও রিমান্ডের আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিএমএম আদালতে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো এবং দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এএসপি হাসান আরাফাত। পরে ২৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম নবীর আদালত। তবে রিমান্ডের আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
ওইদিন মাহমুদুর রহমানকে হাজির করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিনের রিমান্ডে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ। রবিবার(১৭ এপ্রিল) প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে এ ষড়যন্ত্রে শফিক রেহমানের সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে আদালতে এ আবেদন জানানো হয়। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতারও এ ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও দাবি করছে ডিবি পুলিশ।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে পল্টন থানায় ২০১৫ সালের আগস্টে দায়ের করা মামলায় শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল আটটায় শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর দুপুরে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পূর্বে যেকোনো সময় জাসাস সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ উল্লাহ মামুন ও তার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারসহ আসামিরা পল্টনস্থ জাসাস কার্যালয়ে, নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্যে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তার বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণপূর্বক হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আসামি মোহাম্মাদ উল্লাহ মামুন এবং বিএনপি জোটভুক্ত নেতা আসামি সিজারকে দায়িত্ব দেয়। ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে সিজারের ৪২ মাসের কারাদণ্ড হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।