নোয়াখালীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় উত্ত্যক্তকারী ও ছাত্রীর বড় ভাই-স্বজনদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ দু’পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ার হাট এলাকা ও স্থানীয় বাইতুস সাইফ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বুধবার দুপুর ও সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- শিক্ষার্থীর বড় ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী চাঁন মিয়া (১৬), তার চাচা ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন (২৬), মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবদুল জলিল (১৭) ও আজগর আলীকে (১৬) বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং শিক্ষার্থী বিবি আমেনা, নারগিস আক্তার, মোঃ আবদুল্লাহ, আবদুল করিম, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ নুর নবী, শিক্ষক ইয়াকুব আলী, আমজাদ হোসেন মামুন, মোঃ ইব্রাহীম খলিল রাজু, মোঃ সোহেল, মোঃ হাছান, মোঃ ফারুক ও গিয়াস উদ্দিন।

এদিকে হামলায় মাদ্রাসার সুপার মনিরুজ্জামান জিহাদীর ইন্দন রয়েছে বলে শিক্ষার্থীর ভাই আহত চাঁন মিয়ার দাবি। তবে সুপার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

জানা যায়, সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের উত্তর বাহ্ম গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় বাইতুস সাইফ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৪) একই মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন দীর্ঘদিন থেকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এ ঘটনা ছাত্রীটি তার পরিবার ও বড় ভাই চাঁন মিয়াকে জানায়। গত সোমবার সকালে চাঁন মিয়া তার বোনকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য মনিরকে সতর্ক করে। 

চাঁন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে তিনি আবদুল্লার হাট এলাকা থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে সমিতি বাজার এলাকায় উত্ত্যক্তকারী মনিরসহ ২০-২৫ জন যুবক লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসা তার চাচা সোহরাব ও অন্যান্য স্বজনদের ওপর হামলা করায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় আবার দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলো এতে ২০ জন আহত হয়।

মাদ্রাসা সুপার জানান, ছাত্রীটির ভাই বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে মাদ্রাসায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দু’জন শিক্ষকসহ ৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।