ঝিনাইদহের ২ শিবির নেতার লাশ যশোরে উদ্ধার
ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে দুই শিবির নেতা আবুজার গিফারি ও শামীমের গুলিবিদ্ধ লাশ যশোরে পাওয়ার পর তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছেলেকে হারিয়ে দুই পরিবারের সদস্য বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। চাপালী গ্রামের সেলুনকর্মী নুর ইসলামের স্ত্রী কুলসুম বেগম তাদের একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বার মুর্ছা যাচ্ছেন। এদিকে কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রামের নিহত শামিম হোসেনের পরিবারটিও শোকে পাথর হয়ে গেছে।
বুধবার সকাল ৯ টায় গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের খবর পায় পরিবার দুটি।
শামীমের বাবা রুহুল আমিন জানান, কি কারণে তার কলেজ পড়ুয়া নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করা হলো তা জানা হলো না। নিখোঁজের পর দুই কলেজ ছাত্রের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের পর উপজেলার ইশ্বররা গ্রামের মহসিন আলীর পরিবারের লোকজন দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর শঙ্কার মধ্যে।
রোববার(১০ এপ্রিল) মহাসিন আলীর ছেলে ও স্থানীয় শহীদ নূর আলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহানুর রহমানকে (১৬) পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
সোহানূর রহমানের মা পারভীনা বেগম জানান, তার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না। সে পড়ালেখা করে। তিনি ছেলেকে ফেরতের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রাম থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া শিবির নেতা আবুজার গিফরীকে অক্ষতভাবে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে। গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ছেলেকে জীবিত ফেরতের দাবি করেন তার বাবা মোঃ নুর ইসলাম। এ সময় শিবির নেতা আবুজার গিফরীর মা কুলসুম বেগম, ফুফু নুরজাহান খাতুন, মামা ফজলু সরদার, চাচাতো ভাই পান্নু রাহমান ও মামাতো ভাই রিপন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তেব্য নুর ইসলাম জানান, তিনি পেশায় একজন সেলুন কর্মী। অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে দুই সন্তান আবুজার গিফরী ও মেয়ে ফারজানা খাতুন পপিকে লেখাপড়া শিখিয়ে কলেজ ভার্সিটি পর্যন্ত নিয়ে গেছি। গত ১৮ মার্চ জুম্মার নামাজ পড়ে যখন আবুজার গিফারী বাড়ি ঢুকছিলো, তখন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়ির সামনে অপেক্ষমান দুটি মটরসাইকেলে ৪জন লোক গিফারীকে জোর করে তুলে নিয়ে গান্না বাজারের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের পরনে প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ছিল। মাজায় পিস্তল ও হ্যন্ডকাপ ছিল। বুকে পরিচয়পত্র ঝুলানো ছিল। পরে তিনি ছেলেকে বিভিন্ন জায়গা খুঁজে না পেয়ে ২২ মার্চ কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। গত ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ছেলেকে উদ্ধার করতে না পারায় তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করে ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
সবশেষে বুধবার সকাল লাশ তাদের ২ জনের লাম যশোরে পাওয়ার পর তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ২ সন্তানকে হারিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা এখন শোকেকাতর।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।