লক্ষ্মীপুরে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের আগুন
গ্রীষ্মের জনপ্রিয় মনমুগ্ধকর কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে প্রকৃতিতে। আর সেই প্রকৃতিতে আগুন লাগিয়েছে কৃষ্ণচূড়ার লাল রং। লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেঁড়ে নিয়েছে টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া। প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দিতে নিজের সবটুকু রং ছড়াচ্ছে গ্রীষ্মের জনপ্রিয় এই ফুল কৃষ্ণচূড়া। যে নিজের সবটুকু রং ঢেলে দেয় যেন নববর্ষকে শুভেচ্ছা জানাত।
মনোমুগ্ধকর রক্তিম এই ফুলে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সৌন্দয্যে। পথচারীদের চোখে পড়া মাত্রই মনে হবে গাছগুলোতে যেন আগুন লেগেছে। কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতি পরিচিত ফুল। লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় মনোমুগ্ধকর শোভায় প্রকৃতি লালে লাল হয়ে সজ্জিত হয়েছে। শোভা বর্ধনকারী এ কৃষ্ণচূড়া গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি এখনও নড়বড় অস্তিত্ব নিয়ে কৃষ্ণচূড়া কোনোমতে টিকে আছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে।
জানা যায়, শোভা বর্ধণকারী কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। ভীনদেশী এ ফুলের বৃক্ষগুলো আমাদের দেশে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে ধারণা করা হয়, রাধা ও কৃষ্ণের সঙ্গে নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে যখন এই ফুল ফুটে তখন এর রূপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও থমকে তাকাতে বাধ্য হয়। প্রচণ্ড খরতাপেও এই ফুলের উপস্থিতিতে এক তৃপ্তি অনুভূতি আসে।
কৃষ্ণচূড়ার উচ্চতা খুব বেশি হয় না। সর্বোচ্চ ১১/১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে এর শাখা পলব অনেক দূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। বছরের অন্য সময় গাছগুলো চোখে খুব একটা পড়ে না। এপ্রিল ও মে মাসে প্রকৃতির পেছনে ফেলে মানুষের দৃষ্টিতে আসে আকর্ষণীয় এ ফুল।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো বড় সাত আটটি পাপড়িযুক্ত গাড় লাল। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়ে থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের সত্যিকার সৌন্দয্য এর কাছে গেলে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করা সম্ভব। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে কৃষ্ণচূড়া চাষাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।