ডোমারে বিদ্যুতের দাবিতে ঘেরাও
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় বিদ্যুতের দাবিতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছে বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে জোড়াবাড়ী ও বামুনিয়া ইউনিয়নের দুই শতাধিক বিক্ষুদ্ধ কৃষক মিছিলসহ ডোমার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘন্টাব্যাপি ঘেরাও করে রাখে।
বিক্ষুদ্ধ কৃষকদে রোশানল থেকে রক্ষা পেতে বিদ্যুৎ অফিসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। অফিসে কাউকে না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তাদের দাবি তুলে ধরেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১মাস যাবত জোড়াবাড়ী, ভোগডাবুড়ী, কেতকীবাড়ী ও বামুনিয়া ইউনিয়নে প্রায় বিদ্যুহীন হয়ে রয়েছে।
কৃষকরা জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। লো-ভোল্টেজের কারনে ওই ১ ঘণ্টার বিদ্যুতের ব্যবহার করতে পারছে না কৃষক। বোরো ক্ষেতে পানি দিতে না পারায় হাজার হাজার বিঘা জমির ধানক্ষেত মরে যাচ্ছে। বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা সেখান থেকে ফিরে এসে আবারো বিদ্যুৎ অফিসে অবস্থান নিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবে না তাদের এই প্রতিশ্রুতিতে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের শান্ত হয়। এদিকে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে একই জেলার ডিমলা উপজেলার জনগনও ক্ষোভে ফুসে উঠেছেন। টানা লোডশেডিংয়ের ফলে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বানিজ্যসহ কৃষকদের চাষ আবাদ নিয়ে কঠিন বিপাকে পড়েছেন তারা। অথচ এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের যেনো কোনো মাথা ব্যথাই নেই।
একাধিক এলাকাবাসী জানান, সরকার যখন একের পর এক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছেন জনগণের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে তখন আমাদের এলাকার(ডোমার)বিদ্যুৎ অফিসের এসব অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জনগণের সেবার কথা না ভেবে শুধু পকেট ভারী করতেই সব সময় ব্যস্ত থাকেন। গত প্রায় এক মাস ধরে টানা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা ডিমলাবাসী দিনে গড় তিন ঘন্টা করেও বিদ্যুৎ পাই না। টানা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমাদের সন্তানেরা ভালো ভাবে লেখাপড়া করতে পারছেন না, পানির অভাবে আমাদের চাষ আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ক্ষেত ফেটে চৌচির। আর ব্যবসায়ীদের তো এভাবে চলতে থাকলে খুব বেশিদিন লাগবে না পথে বসতে, বর্তমান যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া বেশির ভাগ ব্যবসা-বানিজ্যই অচল। আমরা ডিমলাবাসী খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।