‘দম্পতিদের মধুচন্দ্রিমার পাপই উত্তরাখণ্ডে ডেকে এনেছিল প্রাণঘাতী বন্যা’
২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ডের সেই ভয়াবহ বন্যার ক্ষত তিন বছর পেরিয়ে। ওই ভয়ানক দুর্যোগ সরকারি হিসাবেই প্রাণ কেড়েছিল অন্তত ৫,৭০০ জনের। কত পাহাড়ি গ্রাম যে ওই মেঘ ভাঙা বৃষ্টির তোড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, আজও তার হিসেব মেলেনি।
সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মূল কারণ অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা বিবিধ কারণের কথা বলেছেন বারবার। অনেকে এই বিপুল প্রাণহানির জন্য দায়ী করেছিলেন পর্যটনের চাপে সেখানে গজিয়ে ওঠা একের পর এক অবৈধ নির্মাণকে। তবে সে সব কিছুকেই এ বার ছাপিয়ে গেলেন শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী। বুধবার অদ্ভুত এক নয়া তত্ত্ব দিলেন তিনি।
তাঁর দাবি, নব দম্পতিদের উত্তরাখণ্ডে মধুচন্দ্রিমা করতে যাওয়ার ‘পাপ’ই নাকি দেবপ্রয়াগে ভয়ানক এই দুর্যোগ ডেকে এনেছিল! অবশ্য এটুকু বলেই থামেননি তিনি। এর সঙ্গেই জুড়েছেন, এই ধরনের ‘অপবিত্র’ কাজ বন্ধ না হলে ফের ঘটবে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ! উত্তরাখণ্ডে মধুচন্দ্রিমার সঙ্গে পিকনিক নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছেন তিনি। পনেরো দিনের সফরে হরিদ্বারে এসেছেন দ্বারকা সারদাপীঠের শঙ্করাচার্য। রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে তাঁর একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের নয়া পর্ব।
গত রবিবারই ৯৪ বছরের এই সন্ন্যাসী বলেছিলেন, শনি মন্দিরে মেয়েরা গেলে বাড়বে ধর্ষণ! গুড়ি পরবা বা নববর্ষের দিন চারশো বছরের প্রথা ভেঙে মেয়েদের জন্য আগল খুলে দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের শনি শিঙ্গনাপুর মন্দির। আনন্দের রেশ কাটার আগেই মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ। দ্বারকা-সারদাপীঠের এই শঙ্করাচার্যের মতে, এ বার শনির কুনজরে পড়বেন মহিলারা। বাড়বে ধর্ষণের মতো অপরাধ।
বিতর্ক অবশ্য স্বরূপানন্দ সরস্বতীর জন্য নতুন কিছু নয়। আপাতত মহারাষ্ট্র জুড়ে তীব্র জলকষ্ট। এ নিয়ে ক’দিন আগেই তিনি বলেছিলেন, সেখানে মন্দিরে মন্দিরে সাঁই বাবার মূর্তি বসছে। গণেশ-হনুমানের মূর্তি ঠাঁই পাচ্ছে সাই বাবার পায়ের তলায়। খরা এই অনাসৃষ্টিরই ফসল। ঘটনাচক্রে শঙ্করাচার্য যে দিন এই মন্তব্য করেছেন তার পরের দিনই দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখানে নারী-পুরুষ সাম্যের ধারণাটাই আসলে বিপন্ন।
সূত্র: আনন্দবাজার
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।