- হোম
- >
- মুক্তিযুদ্ধ
- >
- ধামরাই গণহত্যা দিবস আজ
ধামরাই গণহত্যা দিবস আজ
ধামরাইয়ে গণহত্যা দিবস আজ। ’৭১-এর এই দিনে ১৮ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু নীরবেই কেটে যায় প্রতি বছরের ৯ এপ্রিল ধামরাইয়ের গণহত্যা দিবস। কেউ ন্যূনতম স্মৃতিচারণাও করেননি কখনো। বছরের পর বছর বিভিন্ন জাতীয় উৎসবেও কারো মনে পড়েনি নির্মম হত্যার শিকার স্বদেশপ্রেমী এই ১৮ জনের কথা। স্বজন হারানো ওই পরিবারের লোকজনেরাও জানেন না কবে কখন ধামরাইয়ের গণহত্যা দিবস। কিভাবে ওই শহীদ হওয়া মানুষগুলো ঘুমিয়ে আছে বংশী নদীর তীরে গণকবরে। সেই গণকবর উদ্ধার ও এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি উঠেছে জোরালোভাবে।
১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদাররা ধামরাই সদর বর্তমান পৌরএলাকা থেকে ২৩ জন গ্রামবাসীকে আটক করে গরুর রশি দিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে ধামরাই থানায় নিয়ে বসিয়ে রাখে। এরপর ২৩ জনের মধ্যে ৪ জনকে বৃদ্ধ ভেবে ছেড়ে দেয়। এদের সঙ্গে আরো ৪ জনকে ধরে ২৩ জনকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারে নিয়ে যায়। বংশী নদী এলাকায় কালামপুর বাজার খাল পাড়ে নিয়ে রেললাইন ধরে দাঁড় করিয়ে উপর্যুপরি গুলি ও ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয় ১৮ জনকে। আহত হন ও অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান ৫ জন।
স্বাধীনতার পর একে একে ৪৩টি বছর অতিবাহিত হলেও গণকবর দেওয়া ওই বধ্যভূমিতে নির্মাণ করা হয়েছে বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ধানের চাতাল। গণকবর দেয়ার প্রত্যক্ষদর্শী ভালুম গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওই গণকবরটি দেখিয়ে বলেন, সেখানে স্থানীয় লোকজন পাকা বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ধানের চাতাল নির্মাণ করেছে। সেখানে অবিলম্বে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি করেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ধামরাইয়ের কালামপুরে একটি বধ্যভূমি আছে বলে জানতে পেরেছেন। দ্রুত কালামপুর বধ্যভূমি উদ্ধারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহানা আক্তারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।