বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি বড় হচ্ছে
কাউন্সিল শেষে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিশ্লেষকদের কাছে একটাই প্রশ্ন, কত বড় হচ্ছে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং কবে নাগাদ আলোর মুখ দেখবে এ কমিটি।
কেউ বলছে খুব শিগগিরই আসবে নতুন কমিটি, আবার যেহেতু খালেদা জিয়া এক হাতে কাজ করছেন তাই সময় লাগবে। বেশি সংখ্যক নেতাকে জায়গা করে দিতে ‘ঢাউস কমিটি’ করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
সম্প্রতি বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমিটির আকার সম্পর্কে খালেদা জিয়া স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি। তবে তিনি কাউন্সিলের আগে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে কমিটি বড় করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিএনপির বর্তমান জাতীয় নির্বাহী কমিটি ৩৮৩ জন বিশিষ্ট। এদের মধ্যে কর্মকর্তার সংখ্যা ১১৮ জন। বাকি ২৬৫ জন হলেন সদস্য। তবে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ১৯ জন ও চেয়ারপারসনের ৩৫ জন উপদেষ্টা মিলে এর আকার দাঁড়ায় ৪৩৭ জনে।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির আকারও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯ সদস্য বিশিষ্ট স্থায়ী কমিটি ২১ বা ২৩ সদস্য বিশিষ্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটিতে পদ সংখ্যা বাড়ছে ২ থেকে ৪ জন।
বিএনপির বর্তমান কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান আছেন ১৬ জন। বিশেষ প্রয়োজন হলে বা বেশি সংখ্যক নেতাকে জায়গা করে দেওয়ার ইচ্ছা পূরণ করতে গেলে এখানেও পদ বাড়তে পারে ৯টি। অর্থাৎ ১৬ জনের জায়গায় ২৫ জনকে দেখা যেতে পারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে।
উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যানের মত দলের যুগ্ম মহাসচিব পদও বাড়তে পারে। বর্তমান কমিটিতে থাকা ৭ জন যুগ্ম মহাসচিবের জায়গায় এবার ১১ জন করা হতে পারে। অর্থাৎ এখানেও আরো ৪ পদ সৃষ্টি হবে।
তবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জন্য একজন করে মোট ৭ জন সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়োগ দেবেন খালেদা জিয়া।
দলে সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আকার আরো কিছুটা বাড়বে। এ পদে আরো অন্তত ৭ জনকে নিয়োগ দিতে হবে। গত কমিটিতে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এর পদ থাকলেও সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের পদ ছিল না।
এছাড়া আওয়ামী লীগের মতো অর্থ ও পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, গবেষণা, শিল্প ও বাণিজ্য, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, নারী ও শিশু, যুব উন্নয়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণ, যোগাযোগ ও গণপরিবহন, এনার্জি ও খনিজ সম্পদ, মানবাধিকার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মুক্তিযুদ্ধ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ঋণ, সুশাসন ও জনপ্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জাতীয় সংহতি ও এথনিক মাইনোরিটি বিষয়ক ২৫টি উপ-কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে বিএনপি।
এই ২৫টি উপকিমিটিতে ২৫ জন সম্পাদকসহ প্রতিটা কমিটিতে অনধিক ১২জন করে সহ-সম্পাদক থাকতে পারে।
কমিটির আকার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৬ বছর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মত নেতার সংখ্যা বেড়েছে। তাই সবাইকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কমিটির আকার বড় হতে পারে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।