কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী সোহাগী জাহান তনুর নির্মম হত্যাকাণ্ডে ছাত্রদল কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচির না করায় বিএনপি ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হতাশার কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় মির্জা ফখরুল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘তনুকে হত্যা করা হলো। কিন্তু ছাত্রদল এখনো পর্যন্ত ওই ব্যাপারে কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। কেন করেনি, তা জানি না।’ 

তিনি ছাত্রদলের উদ্দেশে বলেন, ‘তনু আপনাদেরই একজন সহযোদ্ধা।’

তিনি আরও বলেন, ‘তনু হত্যার ব্যাপারে ছাত্রদলের প্রতিবাদ জানানো জরুরী ছিল। বাংলাদেশে ছাত্রদলের বিরাট ঐতিহ্য রয়েছে। সে ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আশা করব, তনু হত্যার ব্যাপারে ছাত্রদল অবিলম্বে প্রতিবাদ জানাবে।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই সরকার ছাত্রদের ধরে নিরুদ্দেশ করে দিচ্ছে। গুম-খুনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।’

এ সময় রিজভী ছাত্রদলকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গুম-খুন থেকে বাঁচতে হলে জাতীয়তাবাদের যে ধ্বনি তোমাদের মধ্যে অনুরণিত হচ্ছে, তাকে আরো শাণিত করতে হবে। তোমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। তোমাদের জেগে ওঠার ওপর নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের নিরাপদে বেঁচে থাকা।’

অনুষ্ঠানে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক-উজ্জামান তারেক, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ওবায়দুল হক নাসির, হাসান মামুন, আব্দুল মতিন, বর্তমান যুগ্ম-সম্পাদক মিয়া মোঃ রাসেল, মিজানুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ নেসারুল হক।